১৫১ নাটক, সিনেমার নাম দিয়ে নিশোকে ভক্তের সেই অদ্ভুত চিঠি
Published: 8th, December 2025 GMT
আফরান নিশো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, ২৭ শিক্ষার্থী পেলেন বিশেষ অ্যাওয়ার্ড
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন গত শনিবার ঢাকার বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এম শামসুল আলম লিটন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়ে অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘তোমরাই নতুন বাংলাদেশের কারিগর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো জ্ঞান ও উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করা। আমাদের এ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।’
আ ন ম এহসানুল হক মিলন সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, ‘কয়েক বছরের মেধা ও পরিশ্রমের বিনিময়ে আপনারা গ্র্যাজুয়েট সম্মান অর্জন করেছেন। এটা শেষ নয় বরং শুরু। আপনারা আজ থেকে এমন এক বিশ্বে পা রাখছেন, যা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি এবং দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। আপনাদের সাফল্য নির্ভর করছে আপনাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা, পরিশ্রম, সহনশীল আর পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতার ওপর।’
অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একাদশ শতকের মহান বাঙালি পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্করের নাম-যশ ও কর্মের যথাযথ প্রতিফল ঘটিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উপযোগী নাগরিক গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। এ জন্য শিক্ষার্থীদের একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম কারিকুলামের ওপর জোর দিতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘দেশে ৪০ লাখ উচ্চশিক্ষিত বেকার থাকার বাস্তবতা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। তাই অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় গুণগত ও যুগোপযোগী শিক্ষার পাশাপাশি বিশেষ দক্ষতা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ইতিমধ্যে স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এসডিআই) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাস্তব যোগ্যতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও ভোকেশনাল অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার, তারুণ্যে বিনিয়োগ। আমরা বলি, তরুণদের শিক্ষায় বিনিয়োগ তাঁদের নিজেদের এবং দেশের সমৃদ্ধির মূল নিয়ামক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির পক্ষে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ইউজিসির চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ গ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান ছাড়াও ২৭ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। এর মধ্যে ৬ জন চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড, ৫ জন বিওটি চেয়ারম্যানস অ্যাওয়ার্ড এবং ১৬ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় ভাইস চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড। এবারের সমাবর্তনে মোট ২ হাজার ৩২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিশেষ লেজার শোর মাধ্যমে।