খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারসহ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদমর্যাদার ২১ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এই বদলি ও পদায়নের আদেশ জারি করা হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো.

মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি) মো. জুলফিকার আলী হায়দারকে শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, যিনি ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

আরেকটি প্রজ্ঞাপনে পুলিশের আরও ১৯ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার এবং সুপারনিউমারারি পদে থাকা বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা রয়েছেন।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত ডিআইজি জেসমিন বেগমকে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত অতিরিক্ত ডিআইজি ওয়াহিদুল হক চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নাজমুল হাসানকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এবং সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মু. মাসুদ রানাকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‍্যাব) পদায়ন করা হয়েছে।

এ ছাড়া উপপুলিশ কমিশনার (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত ডিআইজি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূইয়াকে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটে, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মো. তারেক আহম্মেদকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পুলিশ সুপার এবং পুলিশ অধিদপ্তরের মো. আল মামুনকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার কাজী মো. আবদুর রহীমকে সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার, পুলিশ অধিদপ্তরের পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেনকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার এবং আরএমপির উপপুলিশ কমিশনার মো. মমিনুল করিমকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার কাজী মইনউদ্দিনকে ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার এবং এসএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানকে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে টাঙ্গাইল পিটিসির মো. তরিকুর রহমানকে সিআইডিতে, ট্যুরিস্ট পুলিশের মোহাম্মদ হাসান ইকবাল চৌধুরীকে সিএমপিতে এবং এসএমপির মো. শাহরিয়ার আলমকে ডিএমপিতে বদলি করা হয়েছে। ডিএমপির মো. আব্দুল আউয়ালকে এসএমপিতে এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসের নাজমুন নাহারকে ঢাকা রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের এস এম তারেক রহমানকে এসবিতে এবং এসএমপির আহমাদ মাঈনুল হাসানকে রেলওয়ে পুলিশে পদায়ন করা হয়েছে।

বদলি আদেশে এসবি ঢাকার পুলিশ সুপার সম্রাট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের এআইজি হিসেবে পুলিশ অধিদপ্তরে বদলির আদেশটি বাতিল করা হয়েছে।

জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত ম হ ম মদ রহম ন ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন

‘সড়কে শৃঙ্খলা মানুন, নিরাপদ রাজশাহী গড়ুন’ প্রতিপাদ্যে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) উদ্যোগে ‘ট্রাফিক সপ্তাহ-২০২৫’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আরএমপি সদর দপ্তরের সামনে ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধন করেন আরএমপি কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান।

আরো পড়ুন:

ধামরাইয়ে মোবাইল চুরির অভিযোগে কিশোরকে গাছে বেঁধে মারধর 

যশোরে মধ্যরাতে যুবককে হত্যা

আরএমপির কমিশনার ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, “সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু আইন প্রয়োগ যথেষ্ট নয়, জনগণের সচেতন অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাফিক সপ্তাহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) নাজমুল হোসেন এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠানে আরএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নগরে একটি বর্ণাঢ্য সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা বের করা হয়।

ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, মনিচত্বর, লক্ষ্মীপুর মোড়, গৌরহাঙ্গা এবং ভদ্রা মোড়ে বৃহৎ পরিসরে ট্রাফিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব স্থানে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৮০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, যারা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, আইন প্রয়োগ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জনগণকে বিধিনিষেধ সম্পর্কে সচেতন করছেন।

এছাড়া, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট এবং নিরাপদ সড়ক চাই-এর সদস্যরা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। পথচারী ও যানচালকদের মধ্যে ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।

ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালীন মোটরসাইকেলচালকদের হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করা, যানবাহনের লাইসেন্স ও ফিটনেস যাচাই করা, লিফলেট বিতরণ, পথচারীদের ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতন করা এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজশাহীতে ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন