রায়পুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৫৮ রান করেও হেরেছিল ভারত। সেই ম্যাচের পাঁচ দিন পর আজ আইসিসি জরিমানা করেছে লোকেশ রাহুলদের। ৩ ডিসেম্বরের ম্যাচটিতে মন্থর ওভার রেটের কারণে ভারত দলকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সেদিন বোলিং ইনিংস শেষ করার নির্ধারিত সময়ে ২ ওভার পিছিয়ে ছিল ভারত। এ কারণেই আইসিসির আচরণবিধির ২.

২২ ধারা অনুযায়ী ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন শাস্তির রায় দিয়েছেন।

দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে দুই অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও টেম্বা বাভুমা

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এক সপ্তাহ পর অচল জাহাজ থেকে হেলিকপ্টারে বাংলাদেশি নাবিককে উদ্ধার

অচল জাহাজে ছিল না বিদ্যুৎ। ফুরিয়ে যায় খাবারও। তীব্র শীত ও বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া ছিল বিরূপ। এমন আবহওয়ায় এক কক্ষে গাদাগাদি করে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছিল বাংলাদেশি একজনসহ ১০ নাবিকের। এর মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন দুজন নাবিক। প্রায় এক সপ্তাহের অনিশ্চয়তার পর গতকাল রোববার ও আজ সোমবার তাঁদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুলগেরিয়ান কোস্টগার্ড রোববার হেলিকপ্টার পাঠিয়ে কৃষ্ণসাগরে ভাসতে থাকা জাহাজটিতে প্রথমে খাবার পাঠায়। ফিরতি পথে অসুস্থ হয়ে পড়া দুই নাবিককে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসে। আজ সোমবার দ্বিতীয় দফায় আটজনকে জাহাজ থেকে হেলিকপ্টারে তুলে আনা হয়।

উদ্ধার হওয়া জাহাজটির চতুর্থ প্রকৌশলী মাহফুজুল ইসলামের পাঠানো এক ভিডিওতে দেখা যায়, হেলিকপ্টার থেকে ফেলা রশি বেয়ে নাবিকদের জাহাজ থেকে টেনে তোলা হচ্ছে। বর্তমানে তিনিসহ উদ্ধার হওয়া নাবিকেরা বুলগেরিয়ায় অবস্থান করছেন।

মাহফুজুল ইসলাম বুলগেরিয়া থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে বিরূপ আবহাওয়া ও নিয়ন্ত্রণহীন অচল জাহাজে ভাসছিলাম। বিদ্যুৎ ও খাবার না থাকায় জীবনের শঙ্কা ছিল। দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত বুলগেরিয়ান কোস্টগার্ড হেলিকপ্টার দিয়ে আমাদের উদ্ধার করল।’

কৃষ্ণসাগরে গত ২৮ নভেম্বর তেল পরিবহনকারী এমটি কায়রোস জাহাজে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা হয়। এ হামলায় প্রাণে বেঁচে যান জাহাজটিতে থাকা বাংলাদেশের ৪ জনসহ ২৫ নাবিক। জ্বালানি তেলবাহী জাহাজটি রাশিয়ার ‘ছায়া নৌবহরের’ অংশ বলে বিবিসি জানায়।

হামলার দুই দিন পর জাহাজটিতে থাকা বাংলাদেশের তিনজন নাবিক তুরস্ক থেকে দেশে ফিরে আসেন। এই তিনজন হলেন কুষ্টিয়ার আল আমিন, ঢাকার ধামরাইয়ের হাবিবুর রহমান এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার আজগর হোসাইন।

তবে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি তীরের কাছে আনতে জাহাজের মালিকপক্ষ গত ৩০ নভেম্বর কৃষ্ণসাগরে পাঠায় মাহফুজুল ইসলামসহ ১০ নাবিককে। তারা জাহাজটি তুরস্কের কোস্টগার্ডের টাগবোটের সহায়তায় তুরস্কের উপকূলে নিয়ে আসে। কিন্তু অচল হয়ে পড়া জাহাজটি নোঙর ফেলতে না পারায় তুরস্কের উপকূল ছেড়ে ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে বুলগেরিয়ার জলসীমায় চলে যায়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেখানে আটকা পড়েছিলেন নাবিকেরা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আটকে পড়া নাবিকেরা জীবন-মৃত্যুর শঙ্কায় পড়ে যান। তাঁদের উদ্ধারে আকুতি জানান বুলগেরিয়ার কোস্টগার্ডকে।

নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খবর জানার পরই বুলগেরিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, যাতে সেখানকার কোস্টগার্ড নাবিকদের দ্রুত উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়। বুলগেরিয়ার কোস্টগার্ড নিরাপদে নাবিকদের উদ্ধার করেছে। বাংলাদেশের মাহফুজুল ইসলাম নিরাপদে আছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ