এনইআইআর চালুতে ‘আপস করবে না’ সরকার, কমতে পারে আমদানি শুল্ক
Published: 8th, December 2025 GMT
দেশে অবৈধ পথে ও চোরাই মোবাইল ফোন আনা বন্ধের লক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ ক্ষেত্রে নতুন করে সময় বাড়ানো হচ্ছে না। তবে মুঠোফোন আমদানিতে শুল্ক কমানো এবং বর্তমানে ব্যবসায়ীদের মজুতে থাকা অবৈধ মোবাইলগুলো সহজ প্রক্রিয়ায় বৈধতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
গত রোববার মোবাইল আমদানিতে অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে শুল্ক ও ভ্যাট কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। চিঠিতে বলা হয়েছে, যেহেতু ১৬ ডিসেম্বরে এনইআইআর সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে জন্য এর আগেই শুল্ক ও ভ্যাট–কাঠামো যৌক্তিক করা প্রয়োজন। এমনভাবে শুল্ক ও ভ্যাট হার নির্ধারণ করা উচিত, যাতে উৎপাদন ও আমদানির মধ্যকার বৈষম্য কমে আসে এবং বিনিয়োগ সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
এ বিষয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনইআইআর চালু হবেই। এটা নিয়ে কোনো আপস হবে না।’ তিনি আরও বলেন, আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনার জন্য এনবিআরের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। বৈধ আমদানির শুল্ক সহজ হবে।
আর অবৈধভাবে আনা যেসব ফোন এখন ব্যবসায়ীদের স্টকে আছে, সেগুলোর বৈধতা দেওয়ার জন্য আলোচনা চলছে। তবে সেটির জন্য ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই সব হ্যান্ডসেটের আইএমইআই (মুঠোফোন শনাক্তকরণ নম্বর) জমা দিতে হবে।
এনইআইআর কীএনইআইআর হলো এমন একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ (তথ্যভান্ডার), যেখানে দেশে ব্যবহৃত প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আইএমইআই (মুঠোফোন শনাক্তকরণ নম্বর) নিবন্ধিত থাকবে। নির্দিষ্ট এনআইডির সঙ্গে ডিভাইসটি যুক্ত থাকবে অর্থাৎ কোন ফোনটি কার নামে নিবন্ধিত, কোন সিম কোন ডিভাইসে চলছে, ডিভাইসটির মালিকানা বদল হলে কার কাছে গেছে—এসব তথ্য রাষ্ট্রীয় ডেটাবেজে থাকবে।
‘নকল ফোন আনা বন্ধ হবে’বিটিআরসি ও এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সঙ্গে একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠকের একটি সূত্র জানিয়েছে, শুল্ক কমানোর বিষয়ে এনবিআর রাজি হয়েছে। তবে কতটা কমানো হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.
বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি করার একটি উদ্দেশ্য হলো ক্লোন, রিফার্নিশড ও চোরাই ফোন দেশে আনা বন্ধ করা। আমদানিকারকদের প্রমাণ করতে হবে, যে মুঠোফোন তাঁরা আমদানি করছেন, সেটি আসল। এ ক্ষেত্রে তাঁরা যদি ডিলারদের কাছ থেকে কিনে থাকেন, তাহলে ডিলারকে সনদ দিতে হবে যে ফোনটি আসল।
ব্যবসায়ীদের দাবিন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার চালুর উদ্যোগের বিরোধিতা করে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) ব্যানারে গত রোববার সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের সামনে অবস্থান নেন মুঠোফোন ব্যবসায়ীরা। মোট আটটি দাবিতে টানা ১১ ঘণ্টা তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়ীদের শুল্ক পরিশোধ, লাইসেন্স নেওয়া এবং বিটিআরসি ভেন্ডর তালিকায় যুক্ত হতে ছয় মাস সময় দেওয়া। হ্যান্ডসেট আমদানি করতে কোনো ব্র্যান্ডের লিখিত অনুমতি লাগবে না, শুধু সরকারি লাইসেন্স থাকলেই ব্যবসায়ী পণ্য আমদানি করতে পারবে এমন বিধান করা। এখন বিদেশ থেকে আসা রেডি ফোন (সিবিইউ) এবং দেশে যন্ত্রাংশ সংযোজন করা ফোনের (সিকেডি) মধ্যে শুল্কের ব্যবধান কমিয়ে আনা। এনইআইআর প্রকল্প পুরোপুরি সরকারি অর্থে বাস্তবায়ন করা। এনইআইআর চালুর পর মজুত থাকা ফোন বিক্রি করতে অন্তত ছয় মাস সময় দেওয়া এবং দোকানের বিক্রির রশিদকেই বৈধ রেজিস্ট্রেশন কাগজ হিসেবে গ্রহণ করা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য় দ র ব ট আরস এনব আর র জন য র বব র সরক র আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির মনোনীত নেতারা প্রচারে, পিছিয়ে নেই জামায়াত
সুনামগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে প্রথমে তিনটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিএনপি। সম্প্রতি বাকি দুটি আসনেও প্রার্থী ঘোষণা করায় জমে উঠেছে জেলার নির্বাচনী রাজনীতি। এর মধ্যে তিনটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির প্রার্থীদের গণসংযোগের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ করছেন।
এদিকে জেলার পাঁচটি আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। মাঠের প্রচারে বেশি জোর দিচ্ছে দলটি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পাঁচজন প্রার্থী ঘোষণা হলেও নির্বাচনী মাঠে তাঁদের তৎপরতা তুলনামূলক কম। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। ভোটের মাঠে তাদের তৎপরতা না থাকলেও তারা দল গোছানোর চেষ্টা করছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মুফতি শহীদুল ইসলাম পলাশী প্রথম আলোকে বলেন, সুনামগঞ্জে সব আসনেই তাঁদের প্রার্থীরা তৎপর আছেন, প্রচার চালাচ্ছেন। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ-১, সুনামগঞ্জ-৩ ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনে তাঁদের অবস্থা ভালো, অন্য দুটিতে কিছু দুর্বলতা আছে। তাঁরা সব কটিতে ভালো করার চেষ্টা করছেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে। জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যক্রম স্থবির। নেতা-কর্মীদেরও তেমন তৎপরতা নেই। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দলীয় প্রস্তুতি রয়েছে বলে দাবি জেলা জাপার সদস্যসচিব নাজমুল হুদার।
হাওর–অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চারটিতে এবং একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে জোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে একটিতে জাতীয় পার্টি এবং চারটিতে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব কটিতে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
তবে গত চারটি নির্বাচনে নানা কারণে আলোচনায় ছিল সুনামগঞ্জ-৪ আসনটি। এটি জেলার সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে এই আসন আর ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ। জেলা সদরের আলোচিত এই আসনে এবার বিএনপি প্রার্থী করেছে দলের জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আইনজীবী নুরুল ইসলামকে।
সুনামগঞ্জে সব আসনেই প্রার্থীরা তৎপর আছেন, প্রচার চালাচ্ছেন। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ-১, সুনামগঞ্জ-৩ ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনে তাঁদের অবস্থা ভালো, অন্য দুটিতে কিছু দুর্বলতা আছে। তাঁরা সব কটিতে ভালো করার চেষ্টা করছেন।মুফতি শহীদুল ইসলাম পলাশী, জেলা সভাপতি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর)
সুনামগঞ্জের আলোচিত এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিসুল হক। প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন করছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামানের অনুসারীরা। প্রার্থী পরিবর্তন ও কামরুজ্জামানকে প্রার্থী করার দাবিতে প্রতিদিনই সংসদীয় আসনের কোথাও না কোথাও বিক্ষোভ হচ্ছে। অন্যদিকে জোরেশোরে মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন আনিসুল হক। এখানে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমানও সক্রিয় আছেন।
বিএনপির প্রার্থী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দুর্দিনে নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম। কখনো মাঠ ছাড়িনি। আমাকে দল প্রার্থী করায় নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত।’ তবে কামরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘোষিত প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা হতাশ। আশা করছেন দল মানুষের দাবি শুনতে পাবে।
বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আসনটিতে প্রচার চালাচ্ছেন জেলা জামায়াতের আমির তোফায়েল আহমদ খান। তিনি বলেন, ‘জনগণ সব দলকে দেখেছে। এবার তারা জামায়াতের মাধ্যমে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে।’
এখানে ইসলামী আন্দোলনের ফখর উদ্দিন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চিত্তরঞ্জন তালুকদার নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা)
আসনটি প্রথমে ফাঁকা রেখেছিল বিএনপি। এখানে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহির রায়হান চৌধুরী (পাভেল)। নাছির উদ্দিন চৌধুরী শারীরিক অসুস্থতার কারণে এত দিন মাঠে না থাকলেও সম্প্রতি দিরাই সদরে সমাবেশ করে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। ৪ ডিসেম্বর বিএনপি তাঁকে আসনটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
চেষ্টা করছি মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার। হাওর এলাকা, অনেক সংকট। প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। মানুষের আগ্রহ আছে। এটি শেষ পর্যন্ত থাকলে আশা করি ভালো কিছু হবে। মোহাম্মদ শিশির মনির, সুনামগঞ্জ–২ আসনের জামায়াতের প্রার্থীএ আসনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মোহাম্মদ শিশির মনিরকে প্রার্থী করেছে জামায়াত। তিনি মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন। শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেষ্টা করছি মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার। হাওর এলাকা, অনেক সংকট। প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। মানুষের আগ্রহ আছে। এটি শেষ পর্যন্ত থাকলে আশা করি ভালো কিছু হবে।’
আসনটিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শোয়াইব আহমদ। বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট হলে জমিয়তে উলামায়ে আসনটি চাইতে পারে বলে এলাকায় আলোচনা আছে। ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি সোহেল আহমদ, সিপিবির নিরঞ্জন দাস (খোকন) প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ)
বিএনপি এখানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন এবং বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি সদস্য নাদীর আহমদ নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। দুজনই দলীয় প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।
নাদীর আহমদ বলেন, ‘আমি তো দীর্ঘদিন থেকে মাঠে। সবখানেই যাচ্ছি, মানুষের সাড়া পাচ্ছি।’ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছি। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও চান আমি নির্বাচন করি।’
জামায়াতের সিলেট মহানগর শাখার মজলিশে শুরা সদস্য মোহাম্মদ ইয়াসীন খানকে এখানে প্রার্থী করেছে দলটি। এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি আবদুল হাই প্রার্থী হিসেবে মাঠে তৎপর আছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর)
দ্বিতীয় ধাপে ৪ ডিসেম্বর এই আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে। মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চারবারের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবিদুল হক ও আবুল মনসুর মো. শওকত।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৬ বছর হামলা-মামলা সহ্য করে নেতা-কর্মীদের আগলে রেখেছি। আমি কেন্দ্রের নির্দেশনায় মাঠে কাজ করছি।’
জামায়াত এখানে জেলার নায়েবে আমির মোহাম্মদ শামস্ উদদীনকে প্রার্থী করেছে। এ ছাড়া গণ অধিকার পরিষদের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সওগাত উছমানী চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুফতি শহীদুল ইসলাম পলাশী প্রার্থী হতে পারেন।
এনসিপির প্রার্থী হিসেবে জেলার আহ্বায়ক দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরীর (সুমন) নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা একই সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও দল গোছানোর কাজ করছি।’
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার)
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদকে (মিলন) প্রার্থী ঘোষণা করেছে দল। এখানেও প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরীর সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।
কলিম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে মনোনয়ন না পেয়ে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে ছিলাম। এবার দল আমাকে প্রার্থী করেছে। ধানের শীষের পক্ষে এখানে সবাই ঐক্যবদ্ধ।’
জামায়াতের সিলেট মহানগর শাখার মজলিশে শুরা সদস্য আবদুস সালাম আল মাদানী এখানে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২০০১ সালে ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে এখানে নির্বাচন করেছিলেন। তাঁর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান রেজাউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমরা পুরো প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে আছি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠকসহ নানা কর্মসূচি করেছি।’
ইসলামী আন্দোলন এখানে আলী আকবর সিদ্দিকীকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।