ডাকসু ভবন ও তিন হলের প্রবেশপথে মাটিতে পাকিস্তান-ভারতের পতাকা
Published: 8th, December 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবন ও তিন হলের প্রবেশপথে পাকিস্তানের পতাকা মাটিতে সেঁটে দেওয়ার পর ভারতসহ কয়েকটি দেশের পতাকা একইভাবে সেঁটে দেওয়া হয়। এ নিয়ে দিনভর ঢাবি ক্যাম্পাস ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোচনা দেখা যায়।
ভারত-পাকিস্তান ছাড়া আরো যেসব দেশের পতাকা সেঁটে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও যুক্তরাজ্য। শিক্ষার্থীদের এসব পতাকা মাড়িয়ে প্রবেশ ও বাহির হতে দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রবিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থী রাকিব রহমানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী প্রথমে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও ডাকসু ভবনের প্রবেশমুখে মাটিতে পাকিস্তানের পতাকা সেঁটে দেয়।
ওই পতাকায় নো কম্প্রোমাইজ উইথ রাজাকারসহ গালিসূচক আরেকটি শব্দগুচ্ছ খচিত ছিল। পরে তারা পতাকা মাটিতে সেঁটে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন এবং বিজয়ের মাসে ঢাবিতে কোনো পাকিস্তান প্রেম চলবে না বলে ঘোষণা দেন।
সোমবার সকালে ডাকসু ভবনে প্রবেশপথে পাকিস্তানের পতাকার পাশে ভারত ও ইসরায়েল এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে পাকিস্তানের পতাকার পাশাপাশি ভারতের পতাকা একইভাবে সেঁটে দেওয়া হয়। তবে, কে বা কারা এসব করেছে তা জানা যায়নি।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হলের প্রবেশমুখে পাকিস্তান ও ভারত উভয় দেশের পতাকা মাটিতে সেঁটে দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। বিকেলের দিকে ডাকসু ভবনের সামনে সেঁটে দেওয়া পতাকার পাশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পতাকাও পাওয়া যায়।
ঢাকা/সৌরভ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য য ক তর প রব শ র প রব
এছাড়াও পড়ুন:
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ
সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের প্রভাষক লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ছাত্রী। তাদের অভিযোগ, ক্লাসে অশালীন কথা বলা এবং ফেসবুকে আপত্তিকর বার্তা পাঠাতেন ওই শিক্ষক।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) উপাচার্যের কাছে পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন ছাত্রীরা।
আরো পড়ুন:
অবরোধ তুলে নেওয়ার খবর, তবে সড়কে আছেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা
পাবিপ্রবির মানবিক অনুষদের ডিন হলেন হুমায়ূন কবীর
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের পক্ষ থেকে করা অভিযোগ করা হয়েছে, প্রভাষক লিমন হোসেন বিভিন্নভাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করছেন। তিনি তার কক্ষে ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। অনেক সময় তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন বার্তা পাঠান। যেমন, তার স্ত্রী তাকে সুখী করতে পারেন না। তিনি যৌনতার ক্ষেত্রে অনেক একাকিত্বে ভোগেন। এছাড়াও অনেক আপত্তিকর কথা, যা প্রকাশ করার মতো নয়।
অপর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। সেখানে কয়েকটি অভিযোগ করা হয়। বলা হয়, শিক্ষক লিমন হোসেন ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের থানায় গিয়ে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এছাড়া ক্লাসে পড়ানোর ছলে তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয় সকলের সামনে উপস্থাপন করে তাদের হেয় করেন।
অভিযোগ করা হয়, একজন শিক্ষক হিসেবে লিমন হোসেনের পড়ানোর পদ্ধতি কোনোভাবেই গবেষণা কেন্দ্রিক নয়। তিনি গলাদ্ধকরণ পদ্ধতিতে বিশ্বাস করেন। যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধাকে বিনষ্ট করে। এছাড়া লিমন হোসেন স্বজনপ্রীতি নীতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেন, যা পরবর্তীতে বড় অপরাধের জন্ম দেয়।
বিগত দিনে ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত চক্রের সঙ্গে, এমনকি সম্প্রতি বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও প্রভাষক লিমন হোসেনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং প্রকাশ্যে তাদের মদদ দিয়েছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ক্যাম্পাসের একটি মিলনায়তনে শিক্ষার্থীরা লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন। সেখানে তারা দ্রুত লিমন হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘উনি (লিমন হোসেন) মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী। যা আমাদের বিব্রত করে। এমনকি, নিজের ব্যক্তিগত জীবনের প্রেম-বিচ্ছেদের গল্পও বারবার বলে বিব্রত করতে থাকেন। কে কার সঙ্গে মিশবে, না মিশবে— সে ব্যাপারেও তিনি বারবার হস্তক্ষেপ করেন।’’
অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক লিমন হোসেন বলেন, ‘‘অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি এ ধরনের কোনো কথা বলিনি। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের প্রধান ড. ওয়াহিদা জামান লস্কর বলেন, ‘‘উপাচার্যের কাছে দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই।’’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল