অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন গত শনিবার ঢাকার বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এম শামসুল আলম লিটন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো.

জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়ে অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘তোমরাই নতুন বাংলাদেশের কারিগর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো জ্ঞান ও উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করা। আমাদের এ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।’

আ ন ম এহসানুল হক মিলন সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, ‘কয়েক বছরের মেধা ও পরিশ্রমের বিনিময়ে আপনারা গ্র্যাজুয়েট সম্মান অর্জন করেছেন। এটা শেষ নয় বরং শুরু। আপনারা আজ থেকে এমন এক বিশ্বে পা রাখছেন, যা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি এবং দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। আপনাদের সাফল্য নির্ভর করছে আপনাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা, পরিশ্রম, সহনশীল আর পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতার ওপর।’

অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একাদশ শতকের মহান বাঙালি পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্করের নাম-যশ ও কর্মের যথাযথ প্রতিফল ঘটিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উপযোগী নাগরিক গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। এ জন্য শিক্ষার্থীদের একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম কারিকুলামের ওপর জোর দিতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘দেশে ৪০ লাখ উচ্চশিক্ষিত বেকার থাকার বাস্তবতা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। তাই অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় গুণগত ও যুগোপযোগী শিক্ষার পাশাপাশি বিশেষ দক্ষতা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ইতিমধ্যে স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এসডিআই) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাস্তব যোগ্যতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও ভোকেশনাল অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার, তারুণ্যে বিনিয়োগ। আমরা বলি, তরুণদের শিক্ষায় বিনিয়োগ তাঁদের নিজেদের এবং দেশের সমৃদ্ধির মূল নিয়ামক।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির পক্ষে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ইউজিসির চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজ গ্র্যাজুয়েট ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান ছাড়াও ২৭ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। এর মধ্যে ৬ জন চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড, ৫ জন বিওটি চেয়ারম্যানস অ্যাওয়ার্ড এবং ১৬ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় ভাইস চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড। এবারের সমাবর্তনে মোট ২ হাজার ৩২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিশেষ লেজার শোর মাধ্যমে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান তোলারাম, রানার্স আপ আলমচান

নারায়ণগঞ্জ জেলা আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে বন্দরের সরকারি আলমচান স্কুল এন্ড কলেজকে ২-১ গোলে পরাজিত করে জয় পেয়েছে সরকারি তোলারাম কলেজ।

সোমবার বিকেলে শহরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয়লাভ করে তোলারাম কলেজ।

খেলায় বিজয়ী দলকে ৩৫ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও রানার্স আপ দলকে ২৫ হাজার টাকা প্রাইজমানি পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাইমা ইসলাম।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘দুই দলই ভালো খেলেছে। টুর্নামেন্টে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং এর জন্য উভয় দল ধন্যবাদ প্রাপ্য। শৃঙ্খলার সাথে খেলাধুলা চালিয়ে গেলে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবো। নারায়ণগঞ্জ থেকেই আগামীতে নতুন করে মোনেম মুন্না জন্ম নিবে। যারা জাতীয় দলে মাঠ দাপিয়ে বেড়াবে।

নারায়ণগঞ্জের স্টেডিয়ামের চিত্র আমাকে হতাশ করেছে। তবে বর্তমান জেলা প্রশাসকের আন্তরিকতায় দ্রুতই এই স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ শুরু হবে।’

অনুষ্ঠানে ক্রীড়া সংগঠক শরীফ মো. আরিফ মিহিরের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের ভেতর আরও বক্তব্য রাখেন, সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যাপক বিমল চন্দ্র দাস, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার সাথী, অ্যাডহক কমিটির সদস্য সাবিত আল হাসান, নূর জামাল হাসান, ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম নাছির প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ