বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, কোন কিছুর বিনিময়ে আমরা দেশের সার্বভৗমত্ব বিনষ্ট হতে দিতে পারি না। তিনি অভিযোগ করেন, মানবিক করিডোরের নামে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাচ্ছে বিদেশি শক্তি। 

শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘শিক্ষকনেতা ও রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূঞা’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

সিপিবির সাবেক সভাপতি বলেন, দক্ষ লোক পেলেই চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে দিতে হবে এই নীতিতে যদি তিনি বিশ্বাস করেন, তবে বাংলাদেশ সরকার তার চেয়ে আরও দক্ষ লোক খুঁজে পেলে তার কাছে দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, জনগণ সবসময় ইতিহাসের নায়ক। তাদের ভূমিকাকে মূল্যায়ন করতে হবে। বালুর ফাউন্ডেশনের ওপর সংস্কার হয় না, সংস্কার করতে হলে কনক্রিটের ফাউন্ডেশন লাগে। কাজেই সংস্কার করতে হবে জনগণকে সাথে নিয়ে। তিনি বলেন, কলুষতামুক্ত রাজনীতির নায়কদের একজন আতাউর রহমান ভূঞা। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেই তিনি হয়েছেন অসাধারণ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আদর্শের সংগ্রামের বাতিঘর ছিলেন আতাউর রহমান ভূঞা। এই সম্মোহনী বাগ্মী নিত্যদিনে আমাদের অনুসরণীয়- অনুকরনীয়। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা.

ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বিশ্বমানব হতে নিজের অস্তিত্বের ভিত্তি গড়ে তোলা জরুরি। আতাউর রহমান ভূঞা আদর্শ দিয়ে সেই ভিত্তি গড়ে গেছেন। আগামীদিনে রাজনীতিতে নৈতিকতার জায়গা তৈরি করতে হলে তার সম্পর্কে জানতে হবে। 

ঐক্য ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আতাউর রহমান ভূঞার জামাতা বিআইডব্লিউটিএর সাবেক চেয়ারম্যান ও বুয়েটের অধ্যাপক ডক্টর রিয়াজ হাসান খন্দকার, সাংবাদিক বাসুদেব ধর, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বিটিএর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ, বইয়ের লেখক রঞ্জিত কুমার সাহা এবং নিখিল প্রকাশনের স্বত্ত্বাধিকারী নিখিলচন্দ্র শীল। 

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন, আতাউর রহমান ভূঞার ছাত্র, সহকর্মী এবং রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা। তারা বলেন, খ্যাতিমান শিক্ষক ও অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে আতাউর রহমান ভূঞা ছিলেন সর্বসাধারণের কাছে অতিপরিচিত। সভা-সমাবেশে তার জ্বালাময়ী বক্তৃতা শোনার জন্য মানুষ অপেক্ষা করতো। বইটিতে আতাউর রহমান ভূঞার দেশপ্রেম, সফল শিক্ষক ও শিক্ষকনেতার বৈশিষ্ট্য ছাড়াও রাজনৈতিক জীবন ও সামাজিক কাজকর্মের বিবরণ রয়েছে। এছাড়াও এতে নরসিংদীর শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানের শুরুতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রবিরশ্মির শিল্পীরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বই অন ষ ঠ ন র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন শেফালিকা ত্রিপুরা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগমের সই করা এক চিঠিতে এ নিদের্শনা দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ এর ধারা ১৪ অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

এর আগে, গত সোমবার অসদাচারণ ও দুর্নীতির অভিযোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে পরিষদের সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর এক দিনের মাথায় পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা।

উল্লেখ্য, গেল বছরের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান ও আরও ১৪ জন সদস্য নিয়ে পুনর্গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন খাগড়াছড়ি পার্বত্য পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর তিনদিন পর ১০ নভেম্বর নব নিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ