গতকাল মধ্যরাতে হঠাৎই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনির মৃত্যুর গুজব। পরে ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি এ ধরনের গুজব নিয়ে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুনজুলাই–আগস্টে কোথায় ছিলেন ফারিয়া, কী লিখেছিলেন ফেসবুকে১৩ ঘণ্টা আগে

ফেসবুক লাইভে পরীমনি বলেন, ‘সারা দিন শুটিং করে ফোন যখন হাতে নিলাম, আমি শকড। ফোনকলের চেয়ে বেশি মেসেজ। ধরেন, আপনার কোনো আত্মীয় মৃত্যুর খবর শুনলেন, আপনি সেই আত্মীয়কেই ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি বেঁচে আছেন? যেকোনোভাবে গুজবটা ছড়িয়েছে, আমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কতটা শকিং আমার জন্য!’

লাইভে পরীমনি আরও বলেন, ‘মৃত্যু তো আসলে আমার হাতে নেই। আপনি তো জানেন না, কখন চলে যাবেন। আল্লাহর কাছে স্বাভাবিক মৃত্যু চাই সব সময়।’ এ সময় পরীমনি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, তাঁর যদি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়, তবে ধরে নিতে হবে কেউ তাঁকে খুন করেছে। তিনি বলেন, ‘এই যে ঝুলন্ত মরদেহটা উদ্ধার করল আমার, তারপরও লাইভে এসে কথা বলছি আপনাদের সঙ্গে। কোনো একটা ফোকাস সরানোর জন্য মানুষ পরীমনিকেই বেছে নেয়। আলুর দাম কমাতে পারছে না বলে পরীমনির বিয়ের খবর করে দাও। এখন বিয়ে দিতে পারছে না বলে একদম মেরে ফেলল।’

লাইভের শেষের দিকে গ্রেপ্তার হওয়া চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া প্রসঙ্গেও কথা বলেন পরী। ইঙ্গিত দেন, নুসরাত ফারিয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া মানুষের প্রতিক্রিয়া থামাতেই তাঁর মৃত্যুর গুজব চাউর করা হতে পারে।

পরীমনি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে বজ্রপাত হলে তারা মারা যায়। নিহতদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় দুই জন ও শিবগঞ্জ উপজেলায় একজন রয়েছে।

মৃতরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চরমোহানপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম (৪৫), শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের তাজবুল ইসলাম (৪৭) ও শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের হটাৎপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দীন (৭০)।

শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া জানান, জালাল উদ্দীন বিকেলে বৃষ্টির সময় খড়ের গাদার পাশে বসে ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি মারা যান।

আরো পড়ুন:

দুই সপ্তাহ আগে বিয়ে, বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু

কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে আহত এক শিশুর মৃত্যু

সদর থানার ওসি মতিউর রহমান জানান, বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার টিকরামপুরের মাঠে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয় খাইরুল ইসলাম। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই সময়ে সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকার গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে তাজবুল ইসলাম মারা যায়। এ সময় বজ্রাঘাতে তিনটি গরুরও মৃত্যু হয়। 

ঢাকা/শিয়াম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ