কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির পর সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা যারা আমার পাশে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে।

এর আগে আজ সকালে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। পরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৯ ঘণ্টা সড়কে লাশ রেখে দুই থানার ঠেলাঠেলি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় শুক্রবার ভোরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে যায় থানা ও হাইওয়ে পুলিশ। ওই ব্যক্তি কীভাবে 
মারা গেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না তারা। এ কারণে লাশ বুঝে নিতে থানা ও হাইওয়ে পুলিশের মধ্যে ঠেলাঠেলি চলতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর দুপুরে লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মৌচাক এলাকায় ভোর ৫টার দিকে একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে সেখানে যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও হাইওয়ে পুলিশ। তবে কারা লাশ উদ্ধার করবে, এ নিয়ে ঠেলাঠেলি শুরু হয়। থানা পুলিশ বলে, খুন হয়ে থাকলে তারা উদ্ধার করবে। আর সড়ক দুর্ঘটনা হলে হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার করবে। এদিকে হাইওয়ে পুলিশ বলে, মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। সে ক্ষেত্রে লাশ উদ্ধার করবে থানা পুলিশ। পরে মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে শুরু করে। ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত দেখে তারা নিশ্চিত হয়, ওই ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এরপর বেলা ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেন হাইওয়ে পুলিশ শিমরাইল ক্যাম্পের এসআই আশরাফ উদ্দিন। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, ভোরে কোনো এক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় লোকটি নিহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘লাশ দেখে সড়ক দুর্ঘটনা মনে হচ্ছিল না। লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা হত্যাকাণ্ড ভেবে থানা পুলিশকে লাশটি উদ্ধার করতে বলা হয়েছিল।’

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ‘লাশটি মহাসড়কে ছিল। তাই হাইওয়ে পুলিশকে উদ্ধার করতে বলা হয়। লাশে আঘাতের দাগ থাকায় তারা উদ্ধার করতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে থানা ও হাইওয়ে পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য শুনে নিশ্চিত হয়– এটি সড়ক দুর্ঘটনা।’
গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিমরাইল ক্যাম্পের এসআই আশরাফ উদ্দিন জানান, ‘লাশ আমাদের হেফাজতে আছে। ময়নাতদন্তের জন্য এখনও হাসপাতালে পাঠানো হয়নি। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। স্বজনদের পাওয়া না গেলে হাইওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ