রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডের ভূতের গলিতে এক তরুণকে প্রকাশ্যে কোপানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বর্তমানে তিনি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবকের নাম সাইফ হোসেন মুন্না। তিনি কলাবাগান ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা হয়েছে। আহত মুন্নার বোন জামিলা কবির লাবনী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, জনবহুল সড়কে গাড়ি চলছে, পথচারারীরাও হাঁটছেন, এমন একটি সড়কে ধারালো অস্ত্র হাতে তিনজন মিলে এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছেন। কোপানোর পর এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে রোববার রাতে মুন্নাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় এমসি শুভ, মামুন, রানা, শামীম ও মোবারকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। মামলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার অভিযোগ করেছেন বাদী। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মাহফুজুল হক বলেন, মুন্নার ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট্রাল রোডে। মুন্না বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি সবসময় স্থানীয় বিএনপি নেতা মাইনুল হোসেনের সঙ্গেই থাকেন। ঘটনা তদন্ত করছি, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ইলন মাস্ককে রাজনীতি বাদ দিয়ে ব্যবসায় মন দিতে বললেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বলেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, মাস্কের বরং নিজের কোম্পানিগুলো পরিচালনায় মনোযোগ দেওয়া উচিত।

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক গত শনিবার ঘোষণা দেন যে, তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করছাড় ও ব্যয় বিলের প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক এ ঘোষণা দিয়েছেন। এই বিল যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে দেবে বলে মনে করছেন তিনি।

রোববার সিএনএনের ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে স্কট বেসেন্ট বলেন, মাস্কের কোম্পানিগুলোর (টেসলা ও স্পেসএক্স) পরিচালনা পর্ষদ সম্ভবত চাইবে, তিনি যেন রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন।

বেসেন্ট আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, পরিচালনা পর্ষদগুলো মাস্কের (রাজনৈতিক দল গঠনের)  ওই ঘোষণা পছন্দ করেনি। রাজনীতি নয়, বরং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে মনোযোগ দিতে পর্ষদ মাস্ককে উৎসাহিত করবে।’

বেসেন্ট বলেন, মাস্কের নেতৃত্বে থাকা সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা পেলেও মাস্ক নিজে ততটা জনপ্রিয় নন।

বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আজোরিয়া পার্টনার্স মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলার সঙ্গে নতুন একটি যৌথ তহবিল চালু করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু মাস্কের রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণার পর তারা এ উদ্যোগ স্থগিত করেছে। কারণ, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা টেসলার সিইও হিসেবে মাস্কের পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।

আরও পড়ুনইলন মাস্ক কেন নতুন দল গঠন করছেন, কী করতে চান তিনি৬ ঘণ্টা আগে

আজোরিয়ার সিইও জেমস ফিশব্যাক বলেছেন, মাস্কের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং কোম্পানির পরিচালনায় তার দায়িত্বের মধ্যে সামঞ্জস্য আছে কি না তা পরিচালনা পর্ষদকে দ্রুত যাচাই করতে হবে।

মাস্কের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রে যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করতেই নতুন দল গঠন করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘যখন অপচয় ও দুর্নীতির মাধ্যমে আমাদের দেশকে দেউলিয়া করার কথা আসে, তখন আমরা গণতন্ত্র নয়, বরং একদলীয় ব্যবস্থার মধ্যে বাস করছি। আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আজ আমেরিকা পার্টি গঠন করা হলো।’

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার ঘোষণা দিলেন ইলন মাস্ক ২১ ঘণ্টা আগে

দল ঘোষণার এক দিন আগে শুক্রবার এক্সে একটি জরিপ চালিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। দিনটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। ওই জরিপে মাস্ক অনুসারীদের কাছে জানতে চান, দুই দলের (কেউ কেউ বলবেন ইউনিপার্টি) ব্যবস্থা থেকে তাঁরা স্বাধীনতা চান কি না? দুই দল বলতে রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্রেটিক পার্টিকে বুঝিয়েছেন তিনি। প্রায় দুই শতাব্দী ধরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে আধিপত্য ধরে রেখেছে দল দুটি।

এখন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিদলীয় এই ব্যবস্থার বিরোধিতা করলেও ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন মাস্ক। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বিপুল অর্থ দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচিত হওয়ার পর মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দেন ট্রাম্প। পরে সেই দায়িত্ব থেকে সরে যান তিনি। এর পর থেকে ক্রমেই দুজনের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন‘বিগ বিউটিফুল বিলে’ সই করলেন ট্রাম্প০৫ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ