বিদেশে পেশাগত কোর্স ফি পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
Published: 20th, May 2025 GMT
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিদেশের পেশাগত কোর্স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দূরশিক্ষা বা অনলাইন সার্টিফিকেশন কোর্সে অংশ নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এখন থেকে বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে ফি পাঠাতে পারবেন। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না। ফলে এসব কোর্সের ফি পাঠানো সহজ হবে।
মঙ্গলবার (২০ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলো শিক্ষার্থীদের রেমিট্যান্স কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র একবার একটি কোর্সে অংশ নেওয়ার জন্য এই সুবিধা পাবেন। রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য লাগবে টিএম ফর্ম, কোর্স ফি সংক্রান্ত ইনভয়েস বা ডিমান্ড নোট বা পরীক্ষার ফি সংক্রান্ত নোটিশ এবং ঘোষণাপত্র। পরবর্তী যেকোনো রেমিট্যান্স পাঠানোর আগে কোর্সের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। পুরো কোর্স চলাকালীন শিক্ষার্থীরা একটি মাত্র অনুমোদিত ব্যাংক শাখা থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। রেমিট্যান্স বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে পাঠাতে হবে। প্রয়োজনে কার্ড চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
লুটের টাকা জনহিতকর কাজে ব্যবহার করা হবে: গভর্নর
বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয়ে ব্যাংকগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
সার্কুলারে বলা হয়েছে, পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পেশাগত সনদ যেমন চার্টার্ড সার্টিফাইট অ্যাকাউন্ট্যান্ট (এসিসিএ), চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (সিএফএ), প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল(পিএমপি), ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসহ, সিআইএমএ, আইইএলটিএস, টোয়েফল এই ধরনের কোর্সে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগে এসব ফি পাঠাতে আগে সময় সাপেক্ষ ও জটিল ছিল। এই নির্দেশনার ফলে শিক্ষার্থীরা সহজেই বৈধ পথে কোর্স ফি পাঠাতে পারবেন।
ঢাকা/এনএফ/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি