বৈভব সূর্যবংশী ব্যাট হাতে ঝড় তোলা মানেই যেন আইপিএলে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে কোনো না কোনো রেকর্ড গড়া। মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষেও আজ স্বভাবসুলভ ব্যাটিংই করলেন সূর্যবংশী। ৪টি করে চার ও ছক্কায় রাজস্থান রয়্যালসকে উপহার দিলেন ৩৩ বলে ৫৭ রানের ঝলমলে ইনিংস।

ওই ৪ ছক্কায় শেষটি মেরেই সূর্যবংশী গড়লেন নতুন রেকর্ড। আইপিএলে নিজের অভিষেক মৌসুমেই ২৪টি ছক্কা মারলেন তিনি, যা এক মৌসুমে ২০ বছরের কম বয়সী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।

২০১৭ আসরে ঋষভ পন্তও ২৪টি ছক্কা মেরেছিলেন। সেই সময় পন্তের বয়স ছিল ১৯ বছর ৭ মাস। সূর্যবংশী মাত্র ১৪ বছর ১ মাস বয়সেই পন্তকে ছুঁয়ে ফেললেন। কিন্তু এককভাবে রেকর্ডটা নিজের করে নিতে পারবেন না তিনি।

কারণ, এই ম্যাচটিই যে এবারের মৌসুমে রাজস্থান রয়্যালসের শেষ ম্যাচ ছিল! প্লে–অফের দৌড় থেকে অনেক আগেই ছিটকে পড়া রাজস্থান অবশ্য শেষটা দারুণভাবে রাঙিয়ে রাখল। চেন্নাইকে উড়িয়ে দিল ৬ উইকেটে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৮৭/৮ (মহাত্রে ৪৩, ব্রেভিস ৪২, দুবে ৩৯, ধোনি ১৬; আকাশ ৩/২৯, যুধবীর ৩/৪৭, হাসারাঙ্গা ১/২৭, দেশপান্ডে ১/৩৩)।

রাজস্থান রয়্যালস: ১৭.

১ ওভারে ১৮৮/৪ (সূর্যবংশী ৫৭, স্যামসন ৪১, জয়সোয়াল ৩৬, জুরেল ৩১*; অশ্বিন ২/৪১, কম্বোজ ১/২১, নুর ১/৪২)।

ফল: রাজস্থান রয়্যালস ৬ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আকাশ মাধওয়াল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

যারা সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে

রাজধানীর পুরান ঢাকায় নৃশংসভাবে ব্যবসায়ীকে হত্যা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পশ্চাদ্গামী ধারারই অংশ। এ হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। যারা এ ধরনের সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে।

আজ শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশালমিছিল ও সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ। মশালমিছিলটি শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় মিছিল থেকে ‘চাঁদাবাজদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘চাঁদাবাজদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’; ‘যেই হাত মানুষ মারে, সেই হাত ভেঙে দাও’ এবং ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, ‘মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পশ্চাদ্গামী ধারারই অংশ, যেখানে ছাত্ররাজনীতিকে চাঁদাবাজি ও খুনের পৃষ্ঠপোষক বানানো হয়েছে। আমরা বিএনপিকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাম করে যারা সন্ত্রাসে মদদ দেয়, তাদেরও প্রতিরোধ করা হবে।’

রিফাত রশিদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পুলিশি ব্যবস্থা ও জননিরাপত্তা দেখে মনে হয়, এটি শেখ হাসিনার আমলের পুলিশ। (স্থানীয় সরকার) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে পোস্ট দেন—দেশকে প্রস্তর যুগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি সরকারে বসে থেকে কীভাবে এমন কথা বলেন। (ব্যবস্থা নিতে) আপনাদের বাধা কোথায়, আমাদের বলুন। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা এখনো ঘরে ফিরে যায়নি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম বলেন, ‘জুলাইর গণ-অভ্যুত্থান দেখিয়েছে, এ দেশের মানুষ দখলবাজদের বিরুদ্ধে কতটা সোচ্চার হতে পারে। আজ সেই ঐক্য আবার গড়ে তুলতে হবে দলের মুখোশধারী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, নিপীড়নের রাজনীতির বিরুদ্ধে। ছাত্রসমাজকে এই সংগ্রামে এক হতে হবে।’

গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ীকে হত্যা করে একদল ব্যক্তি। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ