সিরিজ বাঁচাতে একাদশে আসতে পারে একাধিক পরিবর্তন
Published: 21st, May 2025 GMT
শারজাহতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে চলমান টি–টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা যতটা গুরুত্বহীন ছিল, শেষটা ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। মূলত পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই পরিকল্পনায় ছিল এই সিরিজ। প্রথমে নির্ধারিত ছিল দুই ম্যাচ। পরে তা বাড়িয়ে করা হয় তিন ম্যাচ, যা এখন অলিখিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়ে ২০৫ রান করেও ম্যাচ হেরে বসে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের এই সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। আজ (বুধবার) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি তাই হয়ে উঠেছে মরণপণ লড়াইয়ের মঞ্চ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
অধিনায়ক হিসেবে লিটনের এটি অভিষেক সিরিজ, ফলে সিরিজ হাতছাড়া হোক, এমনটা নিশ্চয়ই চাইবেন না তিনি। তবে ইতিহাস বলছে, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। গত প্রায় সাত বছরে এমন মাত্র দুটি ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা—২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
এরপর প্রায় তিন বছরেও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সেই ধারার অবসান ঘটাতে চায় কোচ ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। আর এই জয়ের তাগিদেই একাদশে আসতে পারে একাধিক পরিবর্তন।
পায়ের চোটের কারণে আগের ম্যাচে না থাকা পারভেজ হোসেন ইমন ফিরতে পারেন দলে। পেস আক্রমণে দেখা যেতে পারে হাসান মাহমুদকে। বাংলাদেশ তিন পেসার ও দুই স্পিনারের কম্বিনেশনেই নামবে বলে জানা গেছে। অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে জায়গা ধরে রাখতে পারেন শামীম পাটোয়ারি।
সম্ভাব্য বাংলাদেশ একাদশ: পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক (উইকেটরক্ষক), শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাদিকে গুলির ঘটনায় কে এই ফয়সাল করিম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গতকাল পুরানা পল্টনে গুলি করা হয়েছে। প্রথম আলো খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, ফয়সাল করিম নামের এই ব্যক্তি কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হয়েছিলেন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।