বরগুনায় দুজনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
Published: 21st, May 2025 GMT
বরগুনায় পৃথক স্থান থেকে দুজনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সদরের খাজুরা এলাকার কলাবাগান থেকে নাঈম (২৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, দুপুর ১টার দিকে পৌর শহরের পশু হাসপাতাল সড়কের একটি বাসা থেকে রোজী (৪৭) নামের মধ্যবয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নাঈমের মা কুলসুম বেগম বলেন, ‘‘গত তিন দিন ধরে নাঈম নিখোঁজ ছিল। অনেক যায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে ভেবেছিলাম, হয়তো রাগ করে বাড়ি ফিরছে না।’’
আরো পড়ুন:
গড়াই নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার
মৃত্যুর ৩ মাস পর পরিবার পেল প্রবাসীর মরদেহ
রোজীর বাবা মকবুল হোসেন বলেন, ‘‘চার দিন ধরে রোজীর মোবাইলে ব্যবহৃত নম্বর বন্ধ ছিল। আজ দুপুরে ওর বাসায় গিয়ে মালিকের সহযোগিতায় ঘরের তালা ভেঙে বাথরুমে মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেই।’’
বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘‘পৃথক স্থান থেকে এক যুবক ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল হালিম বলেন, ‘‘পৃথক মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ বরগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়