‘মব’ ঠেকিয়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ধানমন্ডি থানার ওসি পুরস্কৃত
Published: 21st, May 2025 GMT
গত সোমবার ধানমন্ডিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ) সৃষ্টির চেষ্টা পেশাদারত্ব ও ধৈর্যের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে প্রশংসিত ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী তাঁকে পুরস্কৃত করেন।
আজ বুধবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) জাহাঙ্গীর কবির পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ–সম্পর্কিত একটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, মব (উত্তেজিত জনতা) নিয়ন্ত্রণে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার ধানমন্ডি থানার ওসির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। পরিস্থিতি বুঝে উত্তেজিত জনতা (মব) সামাল দেওয়ার এই দৃষ্টান্ত সব পুলিশ সদস্যের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
গত সোমবার রাতে ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কে একজন প্রকাশককে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেন একদল যুবক। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। পরে ওই ব্যক্তিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয় দিয়ে ওই প্রকাশককে গ্রেপ্তার করতে বলেন। কিন্তু ওই প্রকাশকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তারে অপারগতা প্রকাশ করে পুলিশ। পরে ওসি ক্যশৈন্যু মারমার সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনজনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ওসির ভূয়সী প্রশংসা করেন সবাই। পরে এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক ত ধ নমন ড প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম