আব্দুল আলীমের স্বাধীনতা পুরস্কার-একুশে পদক চুরি, উদ্ধার হয়নি ১৫ দিনেও
Published: 22nd, May 2025 GMT
বাংলা লোকসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আব্দুল আলীমের স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ সাতটি মেডেল ও সম্মাননা স্মারক চুরির ১৫ দিন পার হলেও তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৮ মে রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। সিসিটিভি ফুটেজে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে দেখা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দাউদ হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, “এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এ নিয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও তদন্তে নেমেছে।”
পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, চুরি যাওয়া পদকগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৭৭ সালের একুশে পদক, ১৯৯৭ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার, ১৯৬০ সালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে পাওয়া 'তমঘা-ই-হুসন', এবং লাহোরের নিখিল পাকিস্তান সংগীত সম্মেলনে প্রাপ্ত দুটি সম্মাননা স্মারক। এছাড়া, সেদিন বাসা থেকে ৫০ হাজার টাকা, এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও একটি গলার হারও চুরি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আব্দুল আলীমের মেয়ে আছিয়া আলীম খিলগাঁও সি ব্লকের পুনর্বাসন আবাসিক এলাকার তিন তলা বাড়ির নিচতলায় থাকেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি হাঁটতে বের হন। ৫০ মিনিট পর বাসায় ফিরে ঘরের তালা ভাঙ্গা এবং সবকিছু এলোমেলো দেখতে পান। নিচ তলার অপর ইউনিটে তার দুই ভাই স্ত্রী সন্তানসহ থাকেন। তিন তলা বাড়িটির ছয় ইউনিটের আব্দুল আলীমের পাঁচ সন্তান থাকেন।
ঢাকা/এমআর/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হাদিকে গুলির ঘটনায় কে এই ফয়সাল করিম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গতকাল পুরানা পল্টনে গুলি করা হয়েছে। প্রথম আলো খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, ফয়সাল করিম নামের এই ব্যক্তি কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হয়েছিলেন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।