মানুষকে নয়, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হবে স্বয়ং মশাকেই
Published: 22nd, May 2025 GMT
ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমাতে মানুষকে নয়, বরং মশাকেই ম্যালেরিয়ার ওষুধ দেওয়ার পদ্ধতি বের করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গবেষক। খবর- বিবিসি
প্রতি বছর অন্তত ছয় লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় মারা যায়, যারা মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। নারী মশা মানুষের রক্ত পান করার সময় ছড়ায় এই রোগটি। বর্তমানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমানোর জন্য কীটনাশক দিয়ে মশা নিধন ছাড়া আর তেমন কোনো উপায় নেই। অনেক বছর ধরে কীটনাশক ব্যবহার করছে মানুষ, এর ফলে অনেক দেশের মশার ওপর কীটনাশক আর কাজ করে না।
কিন্তু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দেখেন, ম্যালেরিয়া ছড়ানো মশার ওপর একজোড়া ওষুধ প্রয়োগ করতে পারলে মশাগুলোর শরীর থেকে ম্যালেরিয়া চলে যায়, ফলে ওই মশারা মানুষকে কামড়ালেও আর ম্যালেরিয়া ছড়ায় না। মশার শরীরে থাকা ম্যালেরিয়ার পরজীবীগুলো মেরে ফেলতে ওষুধ দুটি শতভাগ কার্যকর।
কিন্তু গবেষণাগারের বাইরে মশার শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগের কী উপায়? যেহেতু মশা থেকে বাঁচতে মানুষ মশারি ব্যবহার করে, তাই মশারি ব্যবহার করেই এই ওষুধ দেওয়া হবে। মশারিতে মাখিয়ে দেওয়া হবে ওই দুটি ওষুধ। মশা যখন মশারিতে বসবে, তখন পা বেয়ে মশার শরীরে প্রবেশ করবে ওই ওষুধ।
মশারিতে বসার পর মশা যদি কোনো কারণে নাও মরে, তাতেও ক্ষতি নেই। কারণ ওষুধের কার্যকারিতা এতই বেশি যে তার শরীর থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল হয়ে যাবে।
এই পদ্ধতিতে ম্যালেরিয়া ঠেকানোর একটি উপকারিতা হলো, একবার ওষুধ প্রয়োগের পর ওই মশারিটি ব্যবহার করা যাবে এক বছর পর্যন্ত। ফলে এই পদ্ধতিটি বেশ সহজলভ্য ও সস্তা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
গবেষণাগারে এই পদ্ধতিটির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এর পরের ধাপ হিসেবে ইথিওপিয়ায় এই ম্যালেরিয়ারোধী মশারি ব্যবহার করে দেখা হবে নিয়মিত ব্যবহারে তার কার্যকারিতা কেমন। সব মিলিয়ে এ ধরনের মশারি সাধারণ মানুষের হাতে আসতে পারে আরও ছয় বছর পর।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল