আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ হওয়ার কথা ছিল আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এ নিয়ে ঢাকায় সচিবালয়ে বৈঠকও হয়েছে। তবে এ বৈঠকে দাম নির্ধারণ হয়নি। কারণ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন অন্য ব্যস্ততার কারণে বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বৈঠকে উপস্থিত না হতে পারায় দাম চূড়ান্ত হয়নি। আগামী রোববার দাম ঘোষণা করা হবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্যবারের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে এবার কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। প্রয়োজনে কাঁচা চামড়ার রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গত বছর ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা তার আগের বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। অন্যদিকে গত বছর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা তার আগের বছর ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশ থেকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয় ১২২ কোটি মার্কিন ডলারের। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে হয় ১০৪ কোটি ডলার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাস জুলাই-এপ্রিলের প্রবণতা অবশ্য আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে একটু ভালো।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে কাঁচা চামড়া আমদানির অনুরোধ জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি পাঠানোর চিন্তা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গতকাল বুধবারও কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকের পর কোরবানির ঈদের পর ১৫ দিন স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংসহ দেশব্যাপী ৭০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছিলেন, মোট লবণের মধ্যে ৩০ হাজার টন দেওয়া হবে বিনা মূল্যে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন