কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ হবে আগামী রোববার
Published: 22nd, May 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ হওয়ার কথা ছিল আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এ নিয়ে ঢাকায় সচিবালয়ে বৈঠকও হয়েছে। তবে এ বৈঠকে দাম নির্ধারণ হয়নি। কারণ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন অন্য ব্যস্ততার কারণে বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বৈঠকে উপস্থিত না হতে পারায় দাম চূড়ান্ত হয়নি। আগামী রোববার দাম ঘোষণা করা হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্যবারের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে এবার কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। প্রয়োজনে কাঁচা চামড়ার রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গত বছর ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা তার আগের বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। অন্যদিকে গত বছর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা তার আগের বছর ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশ থেকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয় ১২২ কোটি মার্কিন ডলারের। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে হয় ১০৪ কোটি ডলার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাস জুলাই-এপ্রিলের প্রবণতা অবশ্য আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে একটু ভালো।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে কাঁচা চামড়া আমদানির অনুরোধ জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি পাঠানোর চিন্তা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গতকাল বুধবারও কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকের পর কোরবানির ঈদের পর ১৫ দিন স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংসহ দেশব্যাপী ৭০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছিলেন, মোট লবণের মধ্যে ৩০ হাজার টন দেওয়া হবে বিনা মূল্যে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরে ১০ দিনে প্রবাসী আয় ১২৯ কোটি ডলার
চলতি ডিসেম্বর মাসের ১০ দিনে দেশে বৈধ পথে ১২৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যা ১৫ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা) অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন গড়ে দেশে আসছে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৫৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রবাসী আয়।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।এ কারণে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, আগস্ট মাসে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার, জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
ঢাকা/নাজমুল/এসবি