ইন্দুরকানীতে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয় পক্ষের লোকজন এলাকায় মহড়া দেওয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

গত বুধবার পাড়েরহাট ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন করে ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সম্মেলনে আসা পাড়েরহাট ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের প্রথম অধিবেশন শেষে ২টার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশনে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ছয়টি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। পরে ৩, ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তখন ৭ নম্বর ওয়ার্ড গাজীপুরের প্রার্থিতা নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে আহত হন ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পাশা খান, নান্টু সিকদার, নাসির খান, আলামিন ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইমাম ও মানিক। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার। সংঘর্ষের পর তিনটি ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।

এই ঘটনার জেরে বুধবার রাতে বিএনপির পক্ষ দুটি পাড়েরহাটের গাজীপুরে মহড়া দেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ টহল দিলে বিএনপির উভয় পক্ষ নিরাপদে চলে যায়।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ অহম্মেদ বলেন, কাউন্সিলে আসা বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। 

পাড়েরহাট ওয়ার্ড বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য মহিউদ্দিন মল্লিক নাসির জানান, বহিরাগতদের উস্কানিতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ প ড় রহ ট স ঘর ষ র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ