তুরস্কে গ্রেপ্তার ৬৫ সেনা-পুলিশ সদস্য
Published: 23rd, May 2025 GMT
তুরস্কে এক বিশেষ অভিযানে দেশটির সেনাবাহিনীর ৫৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ৯ জন পুলিশ সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয় যাদের বেশিরভাগই ইস্তাম্বুলে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার সকাল ৬টায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রয়াত ধর্মপ্রচারক ও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী ফেতুল্লাহ গুলেনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা। খবর-এএফপি
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ৫৬ জন সক্রিয় সেনাসদস্যকে শুক্রবারের অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও সাতজনের খোঁজ চলছে। ইস্তাম্বুলকেন্দ্রিক ৩৬টি প্রদেশে ফেতুল্লাহ সংগঠনের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে এ সেনাসদস্যদের আটক করা হয়।
তুরস্ক সরকার গুলেনের হিজমেত আন্দোলনকে বোঝাতে ‘ফেতুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠন’ নামটি ব্যবহার করে, যা একসময় নীরবে দেশটির বিভিন্ন খাতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল। প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোয়ানের সঙ্গে এক সময় ঘনিষ্ঠ হলেও পরে গুলেন হয়ে ওঠেন তার প্রধান রাজনৈতিক শত্রু। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান এবং পরে আর তুরস্কে ফেরেননি। গত বছর অক্টোবরে মারা যান ফেতুল্লাহ গুলেন।
২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বরাবরই তাকে দায়ী করে আসছে তুরস্ক সরকার। গুলেনের মৃত্যুর পরও বিশ্বজুড়ে গুলেন সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় আঙ্কারা।
প্রসিকিউটরদের উদ্ধৃত করে তুরস্কের হাল্ক টিভি জানিয়েছে, অভিযানে বিমান বাহিনী, স্থল ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা এই অভিযান চালিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত রস ক এরদ য় ন ত র কর ত রস ক সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
হাদিকে গুলির ঘটনায় কে এই ফয়সাল করিম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গতকাল পুরানা পল্টনে গুলি করা হয়েছে। প্রথম আলো খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, ফয়সাল করিম নামের এই ব্যক্তি কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হয়েছিলেন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।