অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুজব যেভাবে ছড়াল তা অনুসন্ধান করে শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এর ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধানে শনাক্ত হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল থেকে মূলধারার গণমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টারে’ প্রকাশিত Prof Yunus resigns' শীর্ষক শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের লিংক প্রচার হতে দেখেছে বাংলাফ্যাক্ট। বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আলোচিত প্রতিবেদনটি আজকের নয় বরং এটি ২০১১ সালের ১৩ মে ‘দ্য ডেইলি স্টারে’ প্রকাশিত প্রতিবেদন। সে সময় প্রফেসর ড.

মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। সেই প্রতিবেদনের লিংকই গতকালের এ সংবাদ দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে।

যেভাবে গুজবটি ছড়ালো তা অনুসন্ধান করে বাংলাফ্যাক্ট জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে ফেসবুকে The Delhi Star নামের একটি সার্কাজম পেজ থেকে আলোচিত এই প্রতিবেদনের লিংক শেয়ার করা হয়। পরবর্তীতে নেটিজেনরা যাচাই-বাছাই না করেই এবং ওই পেজকে ‘দ্য ডেইলি স্টারের’ আসল পেজ মনে করে সংবাদটি শেয়ার করতে থাকেন। নেটিজেনদের ধারণা-প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এভাবেই গুজবটি দ্রুত ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি বিভ্রান্তিকর প্রচার: রিউমার স্ক্যানার

চবিসাসের নেতৃত্বে জানে আলম-মাহফুজ

‘The Delhi Star' নামের পেজটির বিষয়ে অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, ‘আলোচিত পেজটিতে ৭২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে বর্তমানে। বাংলাফ্যাক্ট পেজের ট্র্যান্সপারেন্সি সেকশন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, এটি ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর চালু করা হয়েছিল এবং এটি চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এর নাম পরিবর্তন করা হয়নি। পেজটি বর্তমানে ৪ জন অ্যাডমিন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যাদের সবার লোকেশন বাংলাদেশে। অর্থাৎ, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পেজটি চালু করা হয় এবং এটি বাংলাদেশে বসেই পরিচালনা করা হচ্ছে।

বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, পেজটির সাম্প্রতিক বেশকিছু পোস্ট পর্যবেক্ষণ করেছে বাংলাফ্যাক্ট। এতে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে এই পেজ থেকে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করা হয়। পোস্টগুলো সার্কাজম আকারে দেওয়া হলেও পরবর্তীতে তা সিরিয়াস দাবি হিসেবে প্রচার হতে দেখেছে বাংলাফ্যাক্ট। তাছাড়া, মূলধারার গণমাধ্যম The Daily Star এর নাম ও ডিজাইন নকল করে পরিচালিত এই পেজ থেকে প্রায়ই বিভিন্ন ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়, যার ডিজাইনও হুবহু ওই গণমাধ্যমটির মতই। এতে বিভিন্ন সময়ে নেটিজেনরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

সূত্র: বাসস

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনেতা থেকে প্রযোজক শরীফ

দেড় যুগের বেশি সময় মঞ্চে অভিনয় করে বড় পর্দায় নাম লেখান শরীফ সিরাজ। চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পর বুঝতে পারেন, এফডিসি ঘরানার সিনেমা নিয়ে অনেকেরই নাক সিঁটকানো ভাব, কেউ কেউ ছোট করেও দেখেন, এমনকি এফডিসির সিনেমা নিয়ে নেতিবাচক কথাও শুনতে হয়েছে। কেউ কেউ সরাসরি এফডিসির সিনেমায় না জড়িয়ে নাটক থেকে আসা নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এফডিসির কাজে অভিজ্ঞতা
এফডিসি ঘরানা বলে কাজটাকে কেন আলাদা করা হয়, দীর্ঘ সময় এটাই বুঝে উঠতে পারতেন না শরীফ। ‘পরে কাজ করে যতটুকু বুঝেছি, এফডিসি ঘরানার কাজগুলোর বেশির ভাগ কলাকুশলী এফডিসির থাকেন। আবার নাটক থেকে উঠে আসা নির্মাতাদের সঙ্গে বেশির ভাগ কাজ করেন নাট্যাঙ্গনের শিল্পী–কলাকুশলীরা। ওটিটিতে আবার দুই ঘরানার মিশ্রণ। সব ধরনের টিমের সঙ্গেই কাজ করেছি। সবাই ভালো। বিশেষ করে বলব, এফডিসির আলাদা একটা জায়গা রয়েছে। এখানে পেশাগত জায়গাটা যেমন আলাদা, তেমনি পেশাদারিটাও বেশি। কীভাবে শিল্পীদের সম্মান করতে হয়, তারা সেটা বেশি জানে। এফডিসি নিয়ে আমার মধ্যে নেতিবাচক কিছু নেই। সবার সঙ্গে কাজ করেই আমি স্বাচ্ছন্দ্য,’ বলেন শরীফ।

শরীফ সিরাজ। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ