ঢাবি উপাচার্যের অফিশিয়াল নম্বর হ্যাকড, চাওয়া হচ্ছে টাকা
Published: 24th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের দাপ্তরিক ফোন নম্বরটি হ্যাকড হয়েছে। ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন নম্বরে ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসার পর ডিবির পক্ষ থেকে নম্বরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেলে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
হ্যাক হওয়া উপাচার্যের দাপ্তরিক নম্বরটি প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সময়ে নেওয়া হয়েছিল। অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের পরে প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এটি ব্যবহার করেন। পরবর্তী সময়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিয়াজ আহমেদ এটি ব্যবহার করছিলেন। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দাপ্তরিক মোবাইল নম্বর।
এর আগে শনিবার দুপুরে উপাচার্যের দাপ্তরিক ফোন নম্বর থেকে ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে পূর্বের চ্যাটকরা সব নম্বরে মেসেজ দেন হ্যাকার। এ সময় অনেকে বিস্মৃত হন। পরে জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি হ্যাকিংয়ের শিকার।
অনলাইন একটি নিউজ পোর্টালের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সাকিব হাসান ফেসবুক পোস্টে জানান, তাকে স্যারের নম্বর থেকে ১৫ হাজার টাকা চেয়ে মেসেজ দেওয়া হয়। প্রেরিত মেসেজে বলা হয়, ‘বিকাশে ১৫ হাজার টাকা হবে আমার আর্জেন্ট লাগবে এখন পাঠিয়ে দেওয়া যাবে।’ আরেকটি মেসেজে বলা হয়, ‘আমি কালকে ব্যাংক থেকে তুলে দিয়ে দিবো সমস্যা নেই।’ এভাবে আরও কয়েকজনকে একই মেসেজ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, উপাচার্য স্যারের দাপ্তরিক ফোন নম্বর হ্যাকড হয়েছে। সেখান থেকে অনেকের কাছে টাকা চেয়ে মেসেজ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে আমরা ডিবিতে জানিয়ে নম্বরটি বন্ধ রেখেছি। তবে উপাচার্যের ব্যক্তিগত নম্বর নিরাপদ আছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ১৫ হ জ র ট ক উপ চ র য র আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
মাটিরাঙ্গায় বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক নারী নিহত
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেলটির আরোহী। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে মাটিরাঙা সেনা জোনসংলগ্ন সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই নারীর নাম দিবালা ত্রিপুরা (৪৫)। তিনি গুইমারা উপজেলার আরবারি এলাকার ধনচন্দ্র ত্রিপুরার স্ত্রী। একই দুর্ঘটনায় শ্যামল বিকাশ ত্রিপুরা (৩১) নামের একজন আহত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেলটির চালক এবং গুইমারা উপজেলার আরবারি এলাকার বাঁশিমোহন ত্রিপুরার ছেলে।
পুলিশ জানায়, খাগড়াছড়ি থেকে সকাল আটটায় ছেড়ে আসা শান্তি পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। মাটিরাঙ্গা সেনা জোনসংলগ্ন পাহাড়ে ওঠার সময় সেলাই প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাসটির। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা দিবালা ত্রিপুরা ও শ্যামল বিকাশ ত্রিপুরা গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দিবালা ত্রিপুরাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং অপরজন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসটি রেখে চালক পালিয়ে গেছেন। বাস ও মোটরসাইকেলটি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।