লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় আশরাফ উদ্দিন নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় জনতা। আজ শনিবার দুপুরে দিকে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

আশরাফ উদ্দিন কমলনগর উপজেলার চর কাদিরীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। পুলিশ বলছে, আশরাফ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যাচেষ্টা ও নাশকতা মামলার আসামি।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আশরাফ উদ্দিনকে আজ দুপুরে কমলনগর থানা-পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর হাতে হাতকড়াও লাগানো হয়। গ্রেপ্তারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ এক হয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা আশরাফকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। আওয়ামী লীগ নেতাকে না পেলেও পরে পুলিশ তাঁকে পরানো হাতকড়াটি উদ্ধার করে।

কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আশরাফ উদ্দিন মামলার আসামি। পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় কয়েক শ নারী-পুরুষ পুলিশকে ঘিরে আসামি ছিনিয়ে নেয়। আমাদের পুলিশ মাত্র ৯-১০ জন। আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ছিনিয়ে রেওয়া আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘মব সন্ত্রাস’ নিয়ে বিবৃতি ঢাবির ৭১ শিক্ষকের

‘গত কয়েক মাসে সারাদেশে মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে’ দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ জন শিক্ষক। গতকাল বুধবার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক’ নামে বিবৃতিটি পাঠানো হয়। তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগপন্থি নীল দলের সঙ্গে যুক্ত। 

 এটি সমন্বয় করেন নীল দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রফিক শাহরিয়ার, নীল দলের সদস্য ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক বাহাউদ্দীন, সাবেক সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক আবদুল মুহিত, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসান প্রমুখ।

এ বিষয়ে অধ্যাপক রফিক শাহরিয়ার সমকালকে বলেন, ‘প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ নামে আমাদের একটি গ্রুপ আছে। কিছুদিন আগে শিক্ষকরা যখন বিপদে পড়েন, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করি। আমরা গ্রুপে নানা বিষয়ে আলোচনা করি। যাদের নাম উল্লেখ আছে, তাদের প্রত্যেকের সম্মতি নিয়ে বিবৃতিটি দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, তারা নীল দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেননি। সাধারণ শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এটি দিয়েছেন। 

এদিকে বিবৃতিতে নাম থাকা নীল দলের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার সমকালকে বলেন, ‘দলের তো (নীল দল) এখন অস্তিত্ব নেই। তবুও কয়েকজন উদ্যোগ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। আমি সম্মতি দিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের তো দায় রয়েছে।’ 

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত কয়েক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মব সন্ত্রাসের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। এতে শুধু মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মুক্তবুদ্ধি চর্চার সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের এসব ঘটনায় তারা খুবই উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও বেদনাহত। তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ