ইসরায়েলের হামলায় গাজার এক নারী চিকিৎসকের ১০ শিশুসন্তানের মধ্যে ৯ জন নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ওই চিকিৎসকের বাড়িতে হামলা চালানো হলে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ওই চিকিৎসকের স্বামী ও এক সন্তান গুরুতর আহত হয়েছেন।

ওই চিকিৎসকের নাম আলা আল-নাজ্জার। তিনি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে কাজ করেন। গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল শুক্রবার জানিয়েছেন, হামলার পর নাজ্জারের বাসা থেকে নয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মুনির আলবোরশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, চিকিৎসক আলা আল-নাজ্জারকে তাঁর কর্মস্থলে দিয়ে বাসায় ফেরেন তাঁর স্বামী হামদি। এরপর কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁদের বাসায় হামলা চালানো হয়।

ওই চিকিৎসকের আত্মীয় ইউসেফ আল-নাজ্জার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। আমাদের মাফ করুন। সব দেশ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সব মানুষ, হামাস—সবার কাছে বলছি, আমাদের ওপর দয়া দেখান। বারবার ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে যেতে আর ক্ষুধায় আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।’

আরও পড়ুনগাজায় নৃশংসতার পর ইউরোপ কি ইসরায়েলকে পরিত্যাগ করছে২ ঘণ্টা আগে

এদিকে আজ শনিবারও গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আজ দুপুর থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে ইসরায়েলে হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজায় ত্রাণের ময়দা বহনকারী একটি ট্রাকে হামলা চালানো হলে নিহত হন পাঁচ ফিলিস্তিনি। আর উত্তর গাজার জাবালিয়ায় একটি পরিবারের বাড়িতে হামলার পর প্রায় ৫০ জন নিহত বা নিখোঁজ রয়েছেন।

আরও পড়ুনযে শিশুদের আত্মারা তাড়িয়ে বেড়াবে ইসরায়েলকে৪ ঘণ্টা আগে

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ১৯ মাস ধরে চলমান ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৫৩ হাজার ৯০১ জন নিহত হয়েছেন। এই সময়ে আহত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৫৯৩ জন। আর উপত্যকাটির জনসংযোগ কার্যালয়ের হিসাবে, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৭০০ জন নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিদের মৃত ধরে এ হিসাব করা হয়েছে।

আরও পড়ুনজেরুজালেমে প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো মাজার দখল করে বাড়িতে রূপান্তর করেছেন এক ইসরায়েলি২৩ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না: ফয়জুল করীম

হত্যা, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ করে অবৈধভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। শনিবার বিকেলে বরিশাল নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশ শুরুর আগে ঢাকার সোহাগ হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নগরী প্রদক্ষিণ করে। 

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এ সময় বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চরিত্র একই। দল দুটির নেতাকর্মীরা খুনি, ধর্ষক। হাতে তাদের রক্তমাখা থাকে। লোক দেখানো বহিষ্কার নয়, রাজধানীতে পাথর ছুড়ে প্রকাশ্যে যুবক হত্যার দায় দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা রাজনীতিকে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার বানাচ্ছে তারাই অতীতে দেশকে দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে। ঢাকায় সোহাগ হত্যার ঘটনাটি পুলিশ ভিন্নখাতে নিতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। 

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন- ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী।

মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আলামিন, মাওলানা মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ লোকমান হাকিম, সহ-সভাপতি শেখ শামসুল আলম মিলন, সেক্রেটারি মাওলানা আবুল খায়ের আশ্রাফী, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ কাওছারুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ