ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধীর সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব বহিষ্কার
Published: 24th, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ মহানগর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ওয়ালিদ আহমেদ অলিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার সংগঠনের আহ্বায়ক মো. অলি উল্লাহ ও সদস্যসচিব আল নুর মোহাম্মদ আয়াস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ মে তারিখে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছিল। যার সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন ওয়ালিদ আহমেদ অলি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ওয়ালিদ আহমেদ অলি কেন্দ্রীয় ঘোষিত নেতাদের নামে বিষোদগার করে সাংগঠনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থি কাজ করেছেন। এছাড়াও, নবগঠিত জেলা ও মহানগর কমিটি কর্তৃক আয়োজিত একটি আন্দোলনের আগের রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওয়ালিদ আহমেদ অলি সংগঠনে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে স্বেচ্ছাচারিতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের পরিচয় দিয়েছেন। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে তিনি বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক ব্যানার ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ময়মনসিংহ শহরের আলোচিত ‘সুন্দর মহল’ ভাঙচুরের ঘটনায় ওয়ালিদ আহমেদ অলির ব্যক্তিগতভাবে জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি দায়িত্বশীলদের অবহিত না করে সেখানে অবস্থান করেছিলেন এবং এর মাধ্যমে সংগঠনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করেছেন।
এ বিষয়ে সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ওয়ালিদ আহমেদ অলি সমকালকে বলেন, যাদের স্বাক্ষরে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের সঙ্গে কেন্দ্রের কোনো যোগাযোগ নেই। এই বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে আগামীকাল আমরা কর্মসূচি দেব।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ সদস যসচ ব স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।