নদী থেকে তরুণের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
Published: 25th, May 2025 GMT
নদীতে ভাসছিল ইতুল হোসেন (১৮) নামে এক তরুণের মরদেহ। খবর পেয়ে শনিবার রাত নয়টার দিকে পাবনার চাটমোহরের ছাইকোলা ইউনিয়নের মিলনচর এলাকার গুমানী নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল ইতুল। তিনি মিলনচর গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দু’জন অজ্ঞাত যুবক একটি মোটরসাইকেলে ইতুলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। শনিবার সন্ধ্যায় গুমানি নদীর কাজিরচর ও মিলনচর সংযোগস্থলে হাত-পা বাঁধা একটি মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। উদ্ধারের পর পরিবার নিশ্চিত করে এটি ইতুলের লাশ। এ সময় ইতুলের হাত ও পা বাঁধা ছিল। একই সঙ্গে নাক ও মুখে রক্তাক্ত জখম ছিল।
ওসি বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা কি কারণে ইতুলকে হত্যা করেছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর রোববার ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
পিকনিকের নৌকায় ‘অশ্লীল নৃত্য’, পিটুনি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সোনতলা গ্রামের পাশে করতোয়া নদীতে কিছু পিকনিকের নৌকা আসে। নৌকাগুলোতে শতাধিক তরুণ ছিল। নদীর পশ্চিম পাড়ে তরুণীদের দেখে একটি নৌকার তরুণেরা সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের পেটানো শুরু করেন। তখন তারা নৌকা থেকে নদীতে লাফ দিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন। তবে ওই তরুণদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। গত শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, নৌকাগুলোতে শতাধিক তরুণ ছিল। তাদের নৌকায় রান্নার সামগ্রী ও বাদ্যযন্ত্র ছিল। সন্ধ্যার কিছু আগে কয়েকটি মেয়ে নদীর পশ্চিম পাড়ে বেড়াতে আসে। তাদেরকে দেখে একটি নৌকার তরুণরা অশ্লীল গান ও নৃত্য শুরু করে। এ অবস্থায় স্থানীয় কিছু লোক লাঠি নিয়ে তরুণদের পেটানো শুরু করেন। নৃত্যে অংশ নেওয়া তরুণরা নৌকা থেকে নদীতে লাফিয়ে রক্ষা পান।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’