ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার লেখক ও নাট্যশিল্পী প্রশান্ত কুমার হালদারের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 

গতকাল শনিবার (২৪ মে) বিকেল ৩টার দিকে কালীগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন প্রশান্ত কুমার হালদার। এরপরই ওইদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রঘুনাথপুরের নাটাবাড়িয়া এলাকার হালদার বাড়িতে আগুন লাগে। এসময় প্রতিবেশীরা আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মঞ্জুর মোর্শেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম ও কালীগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি মোফাজ্জেল হোসেনসহ অন্যান্যরা।

বাড়ির মালিক নির্মল হালদার বলেন, “বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কে বা কারা এসে বাড়ির মূল ভবনের পিছনে আগুন দেয়। তখন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রতিবেশীদের চিৎকারে তারা ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাড়িতে আগুন লেগেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বাড়ির পিছনে রাখা বিচলী, কাঠের স্তুপ ও প্রচুর খড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”

ভোরের কাগজের বিনোদন বিভাগের প্রধান ও প্রশান্ত হালদারের বোন শ্রাবনী হালদার রাখী বলেন, “বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমাদের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর সকালে ঢাকা থেকে বাড়িতে যাই। এই বাড়িতে আমার বাবা-মা, চাচা-চাচী, বড় চাচার ছেলে-স্ত্রী ও তাদের সন্তানরা থাকেন। প্রতিবেশীরা সহযোগিতা না করলে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতো।”

লেখক ও নাট্যশিল্পী প্রশান্ত কুমার হালদার জানান, তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকাতে থাকেন। বাড়িতে মা-বাবা ও তার ছোট ভাই পরিবারসহ থাকেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আগুনের ঘটনায় তিনি শনিবার বাড়িতে আসেন। এরপর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আগুনে বাড়ির মূল ভবনের পিছনে থাকা বিচলী, খড়ি ও আসবাবপত্র বানানোর জন্য রাখা কাঠ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন গোয়াল ঘরেও ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, “এর আগেও আমাদের বাড়ির রান্নাঘরে মানুষের মল মাখিয়ে রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও কয়েকবার দূর থেকে দোতলা ঘর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে।”

রবিবার (২৫ মে) কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

দেদারুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জানার পর শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে।”

এ ব্যাপারে জানতে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইমরান জাকারিয়া বলেন, “আমরা খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আইনগত সহযোগিতা করার জন্য মামলার করার কথা বলেছি। কিন্তু প্রশান্ত হালদার কাউকে সন্দেহ করছেন না বলে মামলা করতে চান না। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তৎপর আছে। ওই এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।”

ঢাকা/সোহাগ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঝ ন ইদহ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

মাহিমা চৌধুরী-সঞ্জয় মিশ্রা বিয়ে করেছেন?

একটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রা ও অভিনেত্রী মাহিমা চৌধুরী। লাল রঙের শাড়িতে বধূ সেজেছেন ৫২ বছর বয়েসি মাহিমা চৌধুরী। আর ক্রিম কালারের কুর্তা-কোট পরেছেন ৬২ বছরের সঞ্জয়। হাঁটতে হাঁটতে তাদের খুনসুটি করতেও দেখা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে এমন দৃশ্য দেখা যায়। 

খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। এ ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়, “৫২ বছর বয়সে মাহিমা চৌধুরী বিয়ে করলেন সঞ্জয় মিশ্রাকে। এরপর তাদের বিয়ের গুঞ্জন দ্রুত ছড়াতে থাকে। এমন খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন নেটিজেনরা। অনেকে আবার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।  

আরো পড়ুন:

অভিনেতা সুধীর দালভি গুরুতর অসুস্থ, অর্থ সংকটে পরিবার

৯ দিনে রাশমিকার সিনেমার আয় কত?

এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মাহিমা চৌধুরী ও সঞ্জয় মিশ্রার বিয়ের খবরটি সত্য নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি তাদের পরবর্তী ‘দুর্লভ প্রসাদ কি দুসরি শাদি’ সিনেমার প্রচারণার অংশ।  

রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার ‘দুর্লভ প্রসাদ কি দুসরি শাদি’ সিনেমা নির্মাণ করেছেন সিদ্ধান্ত রাজ। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সঞ্জয় মিশ্রা। ববিতা চরিত্রে দেখা যাবে মাহিমা চৌধুরীকে। তাছাড়াও অভিনয় করেছেন—শ্রীকান্ত ভার্মা, পলক লালওয়ানি, নবনী প্রমুখ।  

বাস্তব জীবনে মাহিমা ও সঞ্জয় মিশ্রার জীবনের পথ আলাদা। ব্যক্তিগত জীবনে মাহিমা বিয়ে করেছেন আর্কিটেক্ট ববি মুখার্জিকে। ২০০৬ সালে বিয়ে করেন তারা। এ সংসারে তাদের আরিয়ানা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৩ সালে ভেঙে গেছে মাহিমা-ববির সংসার। এরপর কন্যাকে নিয়ে জীবনযাপন করছেন এই অভিনেত্রী। 

অন্যদিকে, ২০০৯ সালে কিরণ মিশ্রার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ অভিনেত্রী সঞ্জয় মিশ্রা। এই সুখী দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নিয়েছে পাল এবং লমহা নামে দুই সন্তান। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
  • বোনকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরেন, পুলিশ জিজ্ঞেস করলে জানান বস্তায় গম
  • বায়ার্নের টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের অবিশ্বাস্য রেকর্ড
  • মাহিমা চৌধুরী-সঞ্জয় মিশ্রা বিয়ে করেছেন?