ঝিনাইদহে লেখক ও নাট্যশিল্পীর বাড়িতে আগুন, থানায় অভিযোগ
Published: 25th, May 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার লেখক ও নাট্যশিল্পী প্রশান্ত কুমার হালদারের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৪ মে) বিকেল ৩টার দিকে কালীগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন প্রশান্ত কুমার হালদার। এরপরই ওইদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রঘুনাথপুরের নাটাবাড়িয়া এলাকার হালদার বাড়িতে আগুন লাগে। এসময় প্রতিবেশীরা আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মঞ্জুর মোর্শেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম ও কালীগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি মোফাজ্জেল হোসেনসহ অন্যান্যরা।
বাড়ির মালিক নির্মল হালদার বলেন, “বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কে বা কারা এসে বাড়ির মূল ভবনের পিছনে আগুন দেয়। তখন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রতিবেশীদের চিৎকারে তারা ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাড়িতে আগুন লেগেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বাড়ির পিছনে রাখা বিচলী, কাঠের স্তুপ ও প্রচুর খড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”
ভোরের কাগজের বিনোদন বিভাগের প্রধান ও প্রশান্ত হালদারের বোন শ্রাবনী হালদার রাখী বলেন, “বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমাদের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর সকালে ঢাকা থেকে বাড়িতে যাই। এই বাড়িতে আমার বাবা-মা, চাচা-চাচী, বড় চাচার ছেলে-স্ত্রী ও তাদের সন্তানরা থাকেন। প্রতিবেশীরা সহযোগিতা না করলে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতো।”
লেখক ও নাট্যশিল্পী প্রশান্ত কুমার হালদার জানান, তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকাতে থাকেন। বাড়িতে মা-বাবা ও তার ছোট ভাই পরিবারসহ থাকেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আগুনের ঘটনায় তিনি শনিবার বাড়িতে আসেন। এরপর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আগুনে বাড়ির মূল ভবনের পিছনে থাকা বিচলী, খড়ি ও আসবাবপত্র বানানোর জন্য রাখা কাঠ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন গোয়াল ঘরেও ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, “এর আগেও আমাদের বাড়ির রান্নাঘরে মানুষের মল মাখিয়ে রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও কয়েকবার দূর থেকে দোতলা ঘর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে।”
রবিবার (২৫ মে) কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
এ ব্যাপারে জানতে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইমরান জাকারিয়া বলেন, “আমরা খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। আইনগত সহযোগিতা করার জন্য মামলার করার কথা বলেছি। কিন্তু প্রশান্ত হালদার কাউকে সন্দেহ করছেন না বলে মামলা করতে চান না। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তৎপর আছে। ওই এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।”
ঢাকা/সোহাগ/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঝ ন ইদহ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে নুসরাত ফারিয়া
গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চলচ্চিত্রের তারকা অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। বর্তমানে তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং চিকিৎসার অংশ হিসেবে বাইরের সঙ্গে তাঁর সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা। আজ দুপুরে এক ফেসবুকে স্ট্যাটাসে এমন তথ্য জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ফারিয়া লেখেন, ‘আমি জানি, আপনারা অনেকেই আমার খোঁজখবর, ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি।’
তিনি জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে, যার ফলে কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গত কয়েক দিনে দুঃসহ সময় উল্লেখ করে ফারিয়া আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব। গত কয়েক দিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে।’
বিবৃতির শেষ অংশে তিনি সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের, যাদের মানবিকতা ও ইতিবাচক ভূমিকাটি এই সময়ে আমার জন্য ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক।’ ফারিয়ার স্ট্যাটাসে মুহূর্তে ভরে যায় মন্তব্যের ঘর। সেখানে তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন ভক্ত ও অনুরাগীরা।
বলা দরকার, ১৮ মে নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় ফারিয়াসহ ২৮৩ জনকে আসামি করা হয়। গত মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর থেকেই তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে ভক্ত ও সহকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। জেল থেকে মুক্তির পর ফেসবুকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই নায়িকা। এরপর থেকে আড়ালে ছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে এ অভিনেত্রী জানালেন তাঁর অসুস্থতার কথা।