নরসিংদীতে মাদকসেবন নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে শুভ মিয়া (২০) খুন করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ শুভর তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

আজ রবিবার (২৫ মে) দুপুরে নরসিংদী পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান পিবিআইর নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার এস এম মোস্তাইন হোসেন। 

পুলিশ সুপার এস এম মোস্তাইন হোসেন জানান, গত ৬ মে সন্ধ্যায় শুভ মিয়া তার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন খিদিরপুর টেকপাড়ার জানেরমুখ ব্রিজের পাশে ডোবার ধারে তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে ৯ মে নরসিংদী মডেল থানায় হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়।

আরো পড়ুন:

পালিত ছেলের বিরুদ্ধে মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

অভয়নগরে কৃষক দল নেতাকে হত্যার পর ২০ বাড়িতে আগুন

এরপর পিবিআই মামলার তদন্তে নামে। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে দ্রুতই হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ২০ মে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান (২৪) ও কবির হোসেন (২১) এবং ২৯ মে চাঁদপুর থেকে আহম্মাদ নাঈম (২৪) কে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ সুপার এস এম মোস্তাইন হোসেন জানান, তদন্তে জানা যায় শুভ মিয়া এবং গ্রেপ্তাররা বন্ধু ছিলেন। ঘটনার দিন তারা একসঙ্গে মাদক সেবনের সময় হাবিব ও শুভের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাবিব শুভকে গলায় চেপে ধরেন এবং বাকি দুইজন মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে গরু বাঁধার দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। গ্রেপ্তার তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আবু সালেক জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

ঢাকা/হৃদয়/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ন হত প ব আই হত য র

এছাড়াও পড়ুন:

শিয়াল মারার ফাঁদে জড়িয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর 

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শিয়াল মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রূপবান বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে ‘সুন্দরবন প্রজেক্ট নামে একটি মুরগির খামার’ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

রূপবান বেগম শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের জহুর আলী মোল্লার স্ত্রী। 

এদিকে শিয়াল মারার ফাঁদে জড়িয়ে গৃহবধূর মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে প্রজেক্টের কর্মচারীরা পালিয়ে যান।

নিহত গৃহবধূর ছেলে আব্দুর সবুরের ভাষ্য, সকালে তার মা ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে সুন্দরবন প্রজেক্টের মধ্যে গিয়েছিলেন। আগের দিন প্রজেক্টের ম্যানেজার মাকসুদ ঘাস কেটে নেওয়ার জন্য তার মাকে বলেছিলেন।

আব্দুর সবুর বলেন, ‘দুপুর গড়িয়ে গেলেও মাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। একপর্যায়ে প্রতিবেশীসহ আশপাশে বাড়িতে খুঁজতে থাকি। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে আব্দুর রহমানসহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রজেক্টের মধ্যে বিদ্যুতের তারে আটকে থাকা মায়ের মরদেহ দেখে খবর দেন।’

দুর্ঘটনার সময় প্রজেক্টে উপস্থিত থাকা মাকসুদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সুন্দরবন প্রজেক্টর মালিক নুর ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। শিয়ালের উপদ্রব বেশি হওয়ায় রাতে প্রজেক্টের চারপাশে জিআই তার দিয়ে তৈরি ফাঁদে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখা হয়। ভুলবশত মাকসুদ সকালে বিদ্যুতের সংযোগ খুলে রাখেননি।

শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেতু থেকে পড়ে নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর ইছামতী নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
  • শিয়াল মারার ফাঁদে জড়িয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর