দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় অ্যাডভার্টাইজিং ফেস্টিভাল ‘গোয়াফেস্ট’-এর অ্যাবি অ্যাওয়ার্ডসে দুই পুরস্কার জিতেছে এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার। ‘ইনোভেটিভ ইউজ অব ইন্টিগ্রেটেড মিডিয়া, সাউথ এশিয়া (এক্সক্লুডিং ইন্ডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে একটি সিলভার এবং একটি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে বাংলাদেশের এ বিজ্ঞাপনী সংস্থা।

সিলভার অ্যাওয়ার্ডটি এসেছে গ্রামীণফোন-এর জন্য করা ‘ইন্টারনেট-এর দুনিয়া সবার’ ক্যাম্পেইনের জন্য। আর গোল্ড অ্যাওয়ার্ডটি এসেছে গ্রামীণফোন-এর ‘বন্ধু বোঝে আমাকে’ ক্যাম্পেইনের জন্য।

ভারতীয় অ্যাডভার্টাইজিং ইন্ডাস্ট্রির অস্কার হিসেবে খ্যাত এই ‘মিডিয়া অ্যাবি’র এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে শুধু এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ারই পুরস্কার পেয়েছে।

অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া এবং দি অ্যাডভার্টাইজিং ক্লাব যৌথভাবে গোয়া ফেস্টের আয়োজন করে, যা দক্ষিণ এশিয়ার অ্যাডভার্টাইজিং ও কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় মিলনমেলা।

আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই অর্জন যেমন প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বের, তেমনি এটি ক্লায়েন্টদের আস্থারও এক উজ্জ্বল প্রতিফলন। এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানায় তাদের ক্লায়েন্টদের প্রতি, যাদের অবিচল সহায়তা ও আস্থা এই যাত্রাকে আরো দৃঢ় করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ডিপোতে পোঁতা ছিল বাস মালিকের লাশ

পরিবহন ব্যবসায়ী আনারুল হোসেন শিকদারকে হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখা হয় তুরাগের বাস ডিপোতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য, বাসের চালক ও নিরাপত্তাকর্মীর হাতে ব্যবসায়ী আনারুল নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।

গত ১৭ জানুয়ারি নিখোঁজের পরদিন ঢাকার তুরাগ থানায় জিডি করেন পরিবারের সদস্যরা। এর পর তদন্তে নামে পুলিশ। দীর্ঘ চার মাস তদন্তের পর সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তুরাগ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা শিকার করে তারা। পরে তাদের দেখানো স্থান থেকে গতকাল রোববার আনারুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তিনজন হলো– সবুজ, শাকিল ও কালাম। তিনজনই রাইদা পরিবহনের বাসচালক। শনিবার রাতে সবুজকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে শাকিল ও কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বিডিজবসের কর্মকর্তা দেলোয়ার শিকদার তুরাগ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। 

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মালিককে হত্যা করার পরও আসামিরা স্বাভাবিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছিল। পালিয়ে না যাওয়ায় তাদের সন্দেহের তালিকায় আনা হয়নি। তবে গত কয়েক দিন সবুজের কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হয় তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের। এক পর্যায়ে সবুজসহ তিনজনই পালিয়ে যায়। শনিবার তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যারহস্যের জট খোলে।
নিহতের ভাতিজা তানভির শিকদার সমকালকে জানান, নিখোঁজের পর থেকে আমাদের সন্দেহ হয় ডিপো নিয়ে। একাধিকবার নিরাপত্তাকর্মী আসাদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সে জানায়, ঘটনার দিন সকালে তার কাছ থেকে কিস্তির ৩১ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে যান চাচা। 

তানভির শিকদার বলেন, ঘটনার ক’দিন আগে চাচা আমাকে জানান, সবুজের কাছে আট লাখ টাকা ও ডিপোর নিরাপত্তাকর্মী আসাদুল্লাহর কাছে বাস বিক্রির ১৮ লাখ টাকা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। তারা ঠিকমতো কিস্তি দিতে পারছে না। এ নিয়েই আসাদুল্লাহ ও সবুজ চাচাকে হত্যা করেছে। 

আনারুল শিকদারের গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদরে। স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে তিনি ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ২৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। কয়েকটি গাড়ি কিনে রাইদা কোম্পানিকে ভাড়া দিয়েছিলেন।
তুরাগ থানার এসআই মামুনুর রশিদ জানান, রোববার বিকেলে ব্যবসায়ী আনারুলের লাশ মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ