‘রিয়াল অপ্রতিরোধ্য হবে’, কথা দিলেন আলোনসো
Published: 26th, May 2025 GMT
জাবি আলোনসোকে নতুন কোচ হিসেবে রোববার ঘোষণা দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সোমবার তাকে আনুষ্ঠানিক পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার ও বায়ার লেভারকুসেনে সাফল্য পাওয়া কোচ বলেছেন, রিয়াল মাদ্রিদ অপ্রতিরোধ্য হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একই সঙ্গে আবেগ ও আনন্দ ফিরিয়ে আনতে চাই। আমরা চাই, যারা স্টেডিয়ামে আসবে তারা যেন খেলা উপভোগ করেন। যারা টিভিতে দেখবেন তারা যেন বলেন- এটাই তো আমার রিয়াল মাদ্রিদ। আমরা যদি এটা করতে পারি, রিয়াল মাদ্রিদ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।’
রিয়ালের দায়িত্ব নেওয়ার আগে কার্লো আনচেলত্তির প্রতি সম্মান জানিয়েছেন আলোনসো। কোচ হিসেবে ডন কার্লো তার ওপর হেড মাস্টারি না করলে আজকের এই পর্যায়ে আসতে পারতেন না বলেও উল্লেখ করেছেন, ‘নতুন অধ্যায় নিয়ে কথা বলার আগে, যেখান থেকে আমি শুরু করছি তা স্মরণ করতে হবে। আমি কার্লো আনচেলত্তির চেয়ারে বসছি, যিনি তার চিহ্ন আমার মধ্যে রেখে গেছেন। তার কড়াকড়ি এবং শিক্ষা ছাড়া আমি আলোনসো হতে পারতাম না।’
রিয়াল মাদ্রিদে জুড বেলিংহাম, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়াসের মতো ফুটবলার আছে। আলোনসোর কৌশল কেমন হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান তাদের মতো খেলোয়াড় পেয়েছি। শুধু এমবাপ্পে কিংবা ভিনিসিয়াস নয়, দলে আরও দু’জন আছে, আমরা যদি তাদের সেরাটা বের করতে পারি তারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তাদের নিয়ে আমার পরিকল্পনা আছে, আমরা তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই, এটাই আমার কাজ।’
গুঞ্জন আছে রদ্রিগো গোয়েস রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে চান। জাবি আলোনসোর সঙ্গে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড কথাও বলতে চান তার পরিস্থিতি নিয়ে। বিয়ষটি নিয়ে করা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘রদ্রিগো রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়। আমি তার সঙ্গে কথা বলবো। এটা তার প্রাপ্য। রদ্রিগো অসাধারণ এক ফুটবলার। আমাদের তাকে দরকার।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।
রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।