আড্ডা'র মোড়ক উন্মোচিত হবে মঙ্গলবার
Published: 26th, May 2025 GMT
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রয়াত লেখক অভয় বিশ্বাস রচিত "আড্ডা" উপ্যনাসের মোড়ক উন্মোচন ও অভয় স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন বিকাল ৫ টায় আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের ৫ম তলায় এক্সপ্রেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আলোচনা, স্মৃতিচারণ, গান, আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হবে।
সাংস্কৃতিক সংগঠন বটতলার আয়োজনে ও রাকিবুল হাসান জেমস'র সঞ্চালনায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন অভয় বিশ্বাসের মা রিনা বিশ্বাস, কবি মজিবুল হক কবীর, কবি আরিফ বুলবুল, সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রদীপ ঘোষ বাবু, কবি পলল পরাগ বিশ্বজিৎ বসাক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বীসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগন।
প্রয়াত অভয় বিশ্বাস সংক্ষিপ্ত জীবনী :
অভয় বিশ্বাস, জন্ম: ২৭ মে ১৯৮৫, বাংলা ১৩ জৈষ্ঠ ১৯৩২ বঙ্গাব্দ। গ্রাম: বন্দর থানার অর্ন্তগত ১নং ঢাকেশ্বরীতে। ছেলেবেলা তার শীতলক্ষা নদীর পাশে সবুজে ঘেরা ঢাকেশ্বরীতেই কাটে। শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি শুরু হয় ঢাকেশ্বরী মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের খুব পছন্দের ছাত্র ছিলেন সদা হাস্যজ্বল অভয়।
২০০০ সালে ঢাকেশ্বরী মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.
তোলারাম কলেজে পড়া অবস্থয়ায় বেশিরভাগ সময় থাকতেন টানবাজার মামার বাড়িতে। নারায়ণগঞ্জে থাকার সুবাদে তিনি উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংসদে যুক্ত হন। নাটকে এবং সংগীতে সমানভাবে পারদর্শী ছিলেন তিনি।
উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংসদ থেকে তিনি এই দেশে এই বেশে, ১৯৭১, অনুকুল ঠাকুরের নাটক সহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেন। পরবর্তিতে তিনি খেলাঘর, ঐকিক থিয়েটার, বটতলা সহ বেশ কিছু সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হন।
২০০২ সালে এইচ. এস.সি পাশ করে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ অভয় বিশ্বাসকে পারিবারিক ও আর্থিক কোনো সংকটই তার লেখাপড়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ২০০৯ সালে তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সংসারের সম্পূর্ন দায়-দায়িত্ব গ্রহন করেন অভয় বিশ্বাস।
তার বেশ কিছুদিন পরেই ২০০৯ সালেই নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজে তার শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। ২০১৩ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শিক্ষকতার পাশাপাশি বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড থেকে সংস্কৃত মধ্য পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে পন্ডিত ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিন ভাই বোনের মধ্যে অভয় বিশ্বাস ছিলেন সকলের বড়। ছোটবেলা থেকেই সবুজের কাছাকাছি এবং নদীর তীড়ে বেড়ে ওঠা অভয় ভালোবাসতেন গ্রাম্য পরিবেশ, বন্ধুদের সাথে আড্ডা ছিলো তার জীবনের সঞ্জীবনী। আড্ডার মঝে অট্ট হাসি আর গান গাওয়া ছিলো তার প্রধান আকর্ষন।
শিক্ষকতা শুরুর পরে বন্ধুরা তাকে ডাকতো “মাষ্টর” বলে। বই পড়ার প্রতি ছিলো তার বিশেষ ঝোঁক, ক্লাসের ব্রেক বা টিউশোন সব সময় তার সাথে বই থাকতো, স্কুলের শিক্ষকদের বই পড়া জড়িপে অভয়ের নাম ছিলো এক নম্বারে। শিক্ষকতা কালীন সময় থেকেই লেখালেখির প্রতি তার ঝোঁক তৈরী হয়।
সিনিয়র শিক্ষক কবি মুজিবুল হক কবীরের উৎসাহে ও সহযোগীতায় ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই প্রথম উপন্যাস “অশনি স্রোত” প্রকাশিত হয়। এছাড়া নতুন নতুন স্থানে ভ্রমন করা, ক্রিকেট, বেডমিন্টন খেলা ছিলো তার খুব পছন্দের।
২০১৭ সালের বই মেলায় প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিলো তার ২য় উপন্যাস “আড্ডা” কিন্তু ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অনন্তকালের পথে যাত্রা করেন এই সম্ভাবনাময় মানুষটি। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র সন্তান সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অভয় ব শ ব স ঢ ক শ বর শ ক ষকত
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৪) এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণের সনদ পত্র বিতরণ
নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিস কর্তৃক আয়োজিত বন্দর উপজেলায় বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৪) এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ (২০২৪-২০২৫) এর সমাপনী ও সনদ পত্র বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে বন্দও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সমাপনী ও সনদ পত্র বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- বন্দর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, বন্দর, মো. সালে আহমদ, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), সরকারি হাজী আলমচান মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, মোহাম্মদ শাহানশাহ ভূইয়া, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে সম্পৃক্ততা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে আগামীতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ।
ফারজানা আক্তার সাথী, জেলা ক্রীড়া অফিসার, (অঃদাঃ) নারায়ণগঞ্জের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষকবৃন্দ ও প্রশিক্ষণাথীরা।
ফারজানা আক্তার সাথী জানান, বাছাইকৃত এ্যাথলেটিক্সদের ১১ দিন ব্যাপী চলমান ২১ টি সেশনে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছাত্র ও তাদের শিক্ষকরা প্রশিক্ষণের মান ও আয়োজনের প্রশংসা করেন।
তিনি আরও বলেন, জেলা ক্রীড়া অফিসার ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন এবং অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করে সবার সফলতা কামনা করেন।