তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতিসভা
Published: 26th, May 2025 GMT
ঢাকায় বিএনপির ঘোষিত 'তারুণ্যের সমাবেশ' সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রস্তুতি সভা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে শহরের জামতলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, “জুলাই-আগস্টে যে আন্দোলন হয়েছে, সেটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বই আগামী নির্বাচনে জনগণের পছন্দ নির্ধারণ করবে। অথচ বর্তমান সরকার সেই আলোচনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”
তারা আরও বলেন, “সরকার নির্বাচনের ভয়েই ‘সংস্কার’-এর নামে কু-সংস্কার শুরু করেছে এবং নির্বাচন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্র করছে।”
বক্তারা বলেন, “যেভাবে রমজানে ইবাদত করা হয়, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য গণআন্দোলন করাও একটি ইবাদত। সেই ইবাদতে আমরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে অংশ নেব ইনশাআল্লাহ।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুব রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু রায়হান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন খান স্বাধীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিপ্লব, ফতুল্লা থানা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাবেক ছাত্রদল নেতা সীমান্ত প্রধান, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম নান্নু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সদস্য হযরত আলী, মকবুল হোসেন বাবু, মুক্তার হোসেন, বাচ্চু, সাদ্দাম হোসেন, রুহুল আমিন ও আকাশ প্রমুখ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। অল্প সংস্কার না বেশি সংস্কার এ নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে তারুণ্যের সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, জনগণই বিএনপির ক্ষমতার মূল উৎস। ক্ষমতায় না থাকলেও বিএনপি জনগণের উন্নয়নের কথা সবসময় চিন্তা করে। বিএনপি নির্বাচিত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করবে। যেকোনো দলের কর্মসূচি পালনের জন্য দরকার একটি নির্বাচনী সরকার। আর বিএনপির শুরু থেকেই এই নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, আর কথা বলার রাজনীতি নয়, এখন বাস্তবায়ন ও দৃষ্টান্ত স্থাপনের সময়। দেশের বহুল জনসংখ্যাকে যদি জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারি তাহলে আমরা আর পিছিয়ে থাকতে হবে না। আমরা দেখেছি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে আজকে ইশরাকের শপথে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ইশরাকের শপথ গ্রহণে বাধা দিয়ে আজ স্বৈরাচারের ব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ায় সরকার পরিচালনায় একটি কথা আছে- গণতন্ত্র সবার আগে। কিন্তু কথাটি শুধু লেখামাত্র। তাই বলতে চাই, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে মানুষের বিশ্বাস বা আস্থার জায়গায় থাকা না যায়। বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা যেন থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, আজকে এই সরকারের কেউ যদি ক্ষমতায় থাকতে চায় বা রাজনীতি করতে চায় তাহলে আপনাদের বলব, ক্ষমতা ছেড়ে রাজনীতিতে আসেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বলতে চাই, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। আবারও বলছি, ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। আর সবাইকে বলছি, আপনারাও নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিন। বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, জনগণের কাছে যান, তারা কি বলতে চায় তা মন দিয়ে শুনুন। সে অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন।
এ সময় স্লোগান দিয়ে তিনি বলেন, ‘দিল্লি নয়, পিন্ডি নয় সবার আগে বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, নারী-পুরুষ সকলের জন্য মৌলিক কর্মমুখী শিক্ষা সর্বোচ্চ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বিএনপি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি পরিবার রয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রামীণ পর্যায়ে যারা অসচ্ছল রয়েছে তাদের জন্য ফ্যামিলি কার্ড করার উদ্যোগ নিয়েছি। রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে তাদের আর্থিক সহায়তার আওতায় আনা হবে। এতে একদিকে তাদের আর্থিক সংকট কাটবে এবং স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ হবে।
তারেক রহমান বলেন, কৃষকদের জন্য ফারমার্স কার্ড প্রণয়ন করা আমাদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এই ফারমার্স কার্ডে জমির পরিমাণসহ যাবতীয় তথ্য থাকবে। কাজের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ।