হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তিন অভিযানে ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের চোরাচালানী পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)। জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় গাঁজা, চিনি এবং বাংলাদেশি মশার কয়েল।

সোমবার (২৬ মে) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

তানজিলুর রহমান।

বিজিবি জানায়, চুনারুঘাটের দুধপাতিল ও সাতছড়ি বিওপি এবং শ্রীমঙ্গলের কাকমারাছড়া বিওপি’র দায়িত্বরতরা সীমান্তবর্তী হুগলিয়া, টিলাবাড়ী ও বটগাছতলা নামক এলাকায় গোপন সংবাদে এই ৩টি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় চোরাকারবারিরা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে বহনকৃত মালামাল রেখে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া মালামালের মধ্যে ছিল ২০ কেজি ভারতীয় গাঁজা, চিনি এবং বাংলাদেশি মশার কয়েল। যার আনুমানিক মূল্য ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান জানান, চোরাচালান ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সবসময়ই কঠোর অবস্থানে এবং ভবিষ্যতেও এ অবস্থান বজায় রাখবে। দেশের যুবসমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করা এবং সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিজিবি সর্বদাই প্রস্তুত।

তিনি বলেন, ‘‘বিজিবি কেবল সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব পালন করে না বরং সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে এবং চোরাচালান রোধে জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। এ জাতীয় অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’’  

তিনি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সীমান্তে কোনো চোরাচালান, মাদক  সংক্রান্ত কিংবা অন্য যে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের তৎপরতা দেখলে তা দ্রুত বিজিবিকে জানানোর আহ্বান জানান।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’

কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যের পোশাকের সঙ্গে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ সংযুক্ত করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই ক্যামেরার মাধ্যমে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের অডিও ও ভিডিও কার্যক্রম রেকর্ড করা যাবে।

আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের ৩৫ জন পুলিশ সদস্যের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ক্যামেরা হস্তান্তর করা হয়। বডি ওর্ন ক্যামেরা বিতরণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দিন শাহীন।

এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই। বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, জনগণের আস্থা অর্জন এবং পুলিশের পেশাগত আচরণ পর্যবেক্ষণ সহজ হবে। পর্যটননির্ভর শহর কক্সবাজারে প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তাব্যবস্থার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।’

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে থানা ও ফাঁড়ির টহল দল, ট্রাফিক ইউনিট, ডিবি এবং বিশেষ অভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যদের মধ্যে এই ক্যামেরা বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ইউনিটেও এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হবে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বডি ওর্ন ক্যামেরার রেকর্ড সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় সার্ভার ও সফটওয়্যার সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ক্যামেরা ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এই উদ্যোগ পুলিশের পেশাদারত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিথ্যা অভিযোগ থেকে সুরক্ষা, তদন্তে স্বচ্ছতা এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভবিষ্যতে কেউ স্বৈরাচার হলে পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • প্রতিনিধিত্ব করার ‘প্রতীকহীন’ সুযোগ 
  • ১০ হাজার বছর আগের এক নারীর প্রতিকৃতি বানালেন গবেষকেরা
  • সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে দেশে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে পারে: তারেক রহমান
  • বিএনপি নেতাকর্মীদের জনবান্ধব হতে হবে : সাখাওয়াত
  • সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
  • ট্রাম্পের প্রতি মার্কিন জনগণের সমর্থন ৪০ শতাংশে ঠেকেছে
  • কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’
  • জাতিসংঘে সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বৈঠক, ফিলিস্তিন ইস্যুতে উদ্বেগ
  • মনোনয়ন নিয়ে চিন্তা করবেন না, জনগণের পাশে থাকুন : আজাদ