বিজিবি’র অভিযানে ৮০ হাজার টাকার চোরাচালানী পণ্য ও মাদক জব্দ
Published: 27th, May 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট ও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তিন অভিযানে ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের চোরাচালানী পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)। জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় গাঁজা, চিনি এবং বাংলাদেশি মশার কয়েল।
সোমবার (২৬ মে) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
বিজিবি জানায়, চুনারুঘাটের দুধপাতিল ও সাতছড়ি বিওপি এবং শ্রীমঙ্গলের কাকমারাছড়া বিওপি’র দায়িত্বরতরা সীমান্তবর্তী হুগলিয়া, টিলাবাড়ী ও বটগাছতলা নামক এলাকায় গোপন সংবাদে এই ৩টি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় চোরাকারবারিরা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে বহনকৃত মালামাল রেখে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া মালামালের মধ্যে ছিল ২০ কেজি ভারতীয় গাঁজা, চিনি এবং বাংলাদেশি মশার কয়েল। যার আনুমানিক মূল্য ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান জানান, চোরাচালান ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সবসময়ই কঠোর অবস্থানে এবং ভবিষ্যতেও এ অবস্থান বজায় রাখবে। দেশের যুবসমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করা এবং সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিজিবি সর্বদাই প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘‘বিজিবি কেবল সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব পালন করে না বরং সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে এবং চোরাচালান রোধে জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। এ জাতীয় অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’’
তিনি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সীমান্তে কোনো চোরাচালান, মাদক সংক্রান্ত কিংবা অন্য যে কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের তৎপরতা দেখলে তা দ্রুত বিজিবিকে জানানোর আহ্বান জানান।
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সচিবালয়ে বিক্ষোভের বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদনের প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে আপনারা কালো ব্যাজ ধারণ করে শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এখন আপনারা অফিস চলতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। ৫ আগস্টের আগে শেখ হাসিনার চোখে আঙুল দিয়ে, শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আপনারা কিন্তু কেউ পদত্যাগ করেন নাই।’
আজ সোমবার সকালে এনসিপির চট্টগ্রাম উত্তর জেলার পথসভা কর্মসূচি শুরু হয়। এই কর্মসূচি শুরুর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম নগরের ২ নম্বর গেট এলাকার বিপ্লব উদ্যানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় এক সাংবাদিক সচিবালয়ে বিক্ষোভ নিয়ে তাঁর মন্তব্য জানতে চান। জবাবে হাসনাত বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার টিকে গেলে আপনারা ঠিকই পদলেহন করে চাকরি করতেন। সুতরাং ৫ আগস্ট–পরবর্তী বাংলাদেশে আপনারা যদি জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এ সরকারকে হুমকি দেন ও সংস্কার কার্যক্রমে বাধা দেন, তবে মনে রাখবেন, জনগণই আপনাদের বিকল্প খুঁজে নেবে।’
হাসনাত প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে কোনো সচিব, কোনো আমলা বা কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কি পদত্যাগ করেছেন। একজনও কি পদত্যাগ করেছেন। রাস্তার মধ্যে নাগরিকদের যে এভাবে গুলি করে হত্যা করছিল, তখন কি একজন সচিব বা আমলার পদত্যাগের খবর এসেছিল? কিন্তু এই সরকারের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর তাঁরা সহযোগিতা না করে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন।’
সরকারকে জিম্মি করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না বলে মন্তব্য করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে লাখ লাখ হাসনাত আবদুল্লাহ আছেন। এই হাসনাত আবদুল্লাহ বেঁচে থাকতে এই সংস্কার কার্যক্রমে যদি বাধা আসে, সেটি কঠোর হাতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে। আপনারা এটা ভাববেন না যে আপনাদের বিকল্প নাই। জনগণ বিকল্প খুঁজে নেবে। সুতরাং সরকারকে সহযোগিতা করুন। সংস্কার কার্যক্রমকে সহযোগিতা করুন। সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে যদি আপনাদের কোনো পর্যালোচনা থাকে, তবে সেটি আপনারা নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করুন। সরকারকে যদি জিম্মি করেন, সেটার পরিস্থিতি ভালো হবে না।’