কড়া নিরাপত্তায় মানিকগঞ্জ আদালতে মমতাজ
Published: 27th, May 2025 GMT
কড়া পাহারায় মানিকগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় কাশিমপুর কারাগার থেকে পুলিশ পাহারায় তাকে আদালতে আনা হয়। আদালত চত্বরে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সিংগাইর থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলাসহ দুটি মামলার নিয়মিত হাজিরা দিতে আজ তাকে আদালতে আনা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মো.
উল্লেখ্য, মামলার প্রথম দিন আদালত চত্বরে মমতাজ বেগমকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে আদালত এলাকায়।
ঢাকা/চন্দন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের পথরেখা ঘোষণা এবং আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে দুই দফা দাবি উত্থাপন করে দুই কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্পষ্ট বিবৃতি চান তাঁরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এ প্রশাসন আমরা এনেছি। যদি আপনারা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারেন, আপনাদের আমরা গাড়িতে তুলে দিতে বাধ্য হব। এ প্রশাসন ক্যাম্পাসে গত এক বছরে কিছুই করতে পারেনি। ছয় মাস পার হলেও একটি ক্যাফেটেরিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। হচ্ছে, হবে কিংবা প্রক্রিয়ায় আছে—এসব কথা আর বলা যাবে না। যদি কাজ করতে না পারেন, আপনারা চলে যাবেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্রশিবির মানববন্ধনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বি এম আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, ‘কোনো অছাত্র, বয়োবৃদ্ধ দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। যাদের ছাত্রত্ব আছে, তাদের দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের অতি শিগগিরই সম্পূরক বৃত্তি দিতে হবে। আমরা আর কোনো অজুহাত শুনব না।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রশাসনকে রোডম্যাপ ঘোষণার তারিখ জানাতে হবে। যদি জকসু না হয়, দ্বিতীয়বার আন্দোলনের ডাক আসবে। আপনাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, সে আন্দোলন আপনারা সামাল দিতে পারবেন না।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যেসব প্রতিনিধি আসবেন তাঁরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। তাঁরা নির্ধারণ করবেন শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিরাপদ থাকবেন, কীভাবে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করা যায়।