কয়েকদিন বাদেই ঈদ। এই সময় ত্বকের যত্নেও মনোযোগী হওয়া দরকার। বিশেষ করে যাদের মুখে ব্রণ আছে তারা এই গরমে দূরযাত্রায় সমস্যায় পড়তে পারেন। মুখে চুলকানিসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় খুঁজে নিন।

বলা ভালো-নানা কারণে মুখে ব্রণ দেখা দিতে পারে। হরমোন ক্ষরণের তারতম্য অথবা অভাব দেখা দেওয়া, জীবাণুর সংক্রমণ, দিনের পর দিন ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা, ভালো ঘুম না হওয়া এবং অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ব্রণের জন্য দায়ী। এই সমস্যা থেকে মুক্তির প্রধান উপায় পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করা। এ ছাড়া বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো ব্রণ দূর করতে সহায়তা দিতে পারে। 

চিনি বা লবণের স্ক্রাব: চিনি এবং লবণের স্ক্রাব আপনার ত্বকের পৃষ্ঠের মৃত কোষগুলো আঁচড়ে ফেলে (এক্সফোলিয়েট)। এজন্য আপনার মুখ ভিজিয়ে নিন, ব্রণে লবণ বা চিনির স্ক্রাব লাগান এবং ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ছোট, বৃত্তাকার গতিতে আপনার ত্বক ম্যাসাজ করুন। শেষে পরিষ্কার পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন।

আরো পড়ুন:

লেবুর খোসা খেলে যেসব উপকার পাবেন

ঘুম থেকে উঠেই স্কোয়াট করছেন, এতে শরীরে যা ঘটছে

সবুজ চা: ভেজা সবুজ চা পাতা আপনার ত্বকে তেল উৎপাদন কমাতে সাহায্য করতে পারে। সবুজ চাতে রযেছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুকনো সবুজ চা পাতা পানিতে মিশিয়ে ভেজা পাতাগুলো আপনার ত্বকে ছোট, বৃত্তাকার গতিতে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন। শেষ হয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন।

উষ্ণ কম্প্রেস: একটি উষ্ণ কম্প্রেস আপনার ব্রণে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি করে, যার ফলে ব্রণ দ্রুত সেরে যায়। একটি পরিষ্কার ওয়াশক্লথ বা ছোট তোয়ালে গরম পানিতে (95 ডিগ্রি ফারেনহাইট) ভিজিয়ে রাখুন এবং এটি আপনার ব্রণে লাগান। দিনে তিন থেকে চারবার আপনার ব্রণে উষ্ণ কম্প্রেস লাগাতে পারেন।

বরফ: বরফ আপনার ব্রণে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে, যা প্রদাহ এবং ব্যথা কমাবে। একটি বরফের টুকরো বা আইস প্যাক হালকা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে আপনার ব্রণের উপর কমপক্ষে ১০ মিনিট রাখুন। দিনে দুই থেকে তিনবার আপনার ব্রণে বরফ লাগান।দেখবেন ব্রণ কমে আসবে। ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে। 

প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: ক্লেভেল্যান্ড ক্লিনিক

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর যত ন পর ষ ক র সব জ চ

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচন সামনে রেখে ৭ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাদে অন্য কোনো নির্বাচনে নিউইয়র্কে এটাই সর্বোচ্চ আগাম ভোট পড়ার ঘটনা। আগামীকাল ৪ নভেম্বর নিউইয়র্ক নগরে মেয়র পদে ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে।

গতকাল রোববার ছিল আগাম ভোট দেওয়ার শেষ দিন। এদিন প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। নগরের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, আগাম ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ ভোট পড়ার ঘটনা। তা ছাড়া এদিন ৩৫ বছরের কম বয়সী ভোটারদের উপস্থিতিও বেশি ছিল। এর মধ্য দিয়ে আগাম ভোট দেওয়া ভোটারদের গড় বয়সও কমে এসেছে। গড় বয়স ৫০ বছরে নেমে এসেছে।

আগের সপ্তাহের প্রথম দিকে কম বয়সী ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। ওই সপ্তাহের রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৮০ হাজার নিউইয়র্কবাসী ভোট দিয়েছিলেন। তবে গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত এই সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৩৫ বছরের কম বয়সী ১ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন, যার মধ্যে শুধু গতকাল রোববারই এ বয়সী ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজারের বেশি।

আরও পড়ুনমামদানিকে বারাক ওবামার ফোন, করলেন নির্বাচনী প্রচারের প্রশংসা০২ নভেম্বর ২০২৫

নিউইয়র্কে চলতি বছর মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চারগুণের বেশি। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমো ও কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে এগিয়ে আছেন।

নিউইয়র্কে চলতি বছর মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চারগুণের বেশি। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমো ও কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে এগিয়ে আছেন।

নিউইয়র্কে সর্বপ্রথম মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয় ২০২১ সালে। ওই নির্বাচনে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। তবে ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যায়নি। ওই নির্বাচনে এরিক অ্যাডামস তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্লিওয়াকে দ্বিগুণের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন।

অবশ্য চলতি বছর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগাম ভোটকে ছাড়াতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১০ লাখ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তুলনায় মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের বয়স তুলনামূলক কম। এটা অবাক করা বিষয়। কারণ, সাধারণত যারা আগাম ভোট দেন তাঁদের গড় বয়স মোট নিবন্ধিতদের গড় বয়সের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প১ ঘণ্টা আগে

চলতি বছরের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের তুলনায়ও অনেক বেশি। ওই সময় নিউইয়র্কে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। সে সময় আগাম ভোট দেওয়া ভোটারের অধিকাংশের বয়স ছিল ৫৫ বছরের বেশি।

চলতি বছরের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের তুলনায়ও অনেক বেশি। ওই সময় নিউইয়র্কে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। সে সময় আগাম ভোট দেওয়া ভোটারদের অধিকাংশের বয়স ছিল ৫৫ বছরের বেশি।

গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের গড় বয়স ছিল ৫১ বছর। তবে এবার মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটারদের গড় বয়স আরও কমে ৫০ বছরে নেমেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ