রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দিনের পর দিন সড়কে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করেন একদল স্বেচ্ছাসেবী। যারা পরিচিত কমিউনিটি ট্রাফিক সদস্য হিসেবে। তাদের এই নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ ছাতা ও রেইনকোট উপহার দিলেন কালীগঞ্জ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ।

গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের কাপাসিয়া রোড পয়েন্টে মঙ্গলবার (২৭ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে এই উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইউএনও তনিমা আফ্রাদ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আলাউদ্দিন, পৌরসভার কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।

কমিউনিটি ট্রাফিক সদস্যরা মূলত সড়কে যানজট নিরসনে সহায়তা করা, পথচারীদের নিরাপদ পারাপারে সহায়তা এবং সাধারণ মানুষকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করতে কাজ করেন। তাদের এই মানবিক দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি দিতে এবং কাজের সুবিধার্থে এই ধরনের উপহার প্রকৃত অর্থেই সময়োপযোগী।

এই কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও উপকরণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কমিউনিটি ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ।

ছাতা ও রেইনকোট পাওয়া কমিউনিটি ট্রাফিক সদস্যরা জানান, প্রশাসনের এই উদ্যোগ তাদের কাজের প্রতি উৎসাহ আরও বাড়িয়ে তুলবে।

কমিউনিটি ট্রাফিক সদস্য স্বেচ্ছাসেবক রাসেল বলেন, “অনেক সময় বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, ছাতা বা রেইনকোট না থাকায় কষ্ট হতো। আজকে এই উপহার আমাদের দায়িত্ব পালনকে অনেকটা সহজ করবে। আমরা কৃতজ্ঞ।”

ওসি মো. আলাউদ্দিন বলেন, “কমিউনিটি ট্রাফিক সদস্যরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। জনকল্যাণে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। এই আয়োজন তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার ছোট্ট প্রকাশ।”

কমিউনিটি ট্রাফিক সদস্যদের উদ্দেশে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, “যারা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিদিন আমাদের নাগরিকদের যানজট নিরসনে সাহায্য করছেন, তারা সত্যিই সমাজের নীরব যোদ্ধা। তাদের এই মানবিক ও সাহসী ভূমিকাকে সম্মান জানাতে এই ছোট উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/রফিক/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট র ফ ক সদস য আম দ র উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এসময় তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন। 

রবিাবর (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টার দিকে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। একপর্যায়ে তারা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্রের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচিতে পরিবর্তন

ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমন ধানে সার দিতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। 

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, কৃষকরা বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইউএনও দীপ জন মিত্র জানান, কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
  • কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ