বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা সাক্ষাৎকার অনির্দিষ্টকাল স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র
Published: 28th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে আগ্রহী বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাচাই-বাছাইয়ের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা এপি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সই করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করার পরিকল্পনা করছে পররাষ্ট্র দপ্তর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই এবং এর সময়সূচি সম্প্রসারণের প্রস্তুতি হিসেবে কনস্যুলেট বিভাগগুলোতে নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে স্থগিতাদেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সাংবাদিকদের বলেন, ভিসার জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিদের যাচাই-বাছাই করতে সংশ্লিষ্ট সকল সিস্টেম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কারা আসছে, তারা ছাত্র হোক বা অন্য কেউ, তা মূল্যায়ন করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের সর্বশেষ পদক্ষেপ। গত সপ্তাহে, ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষমতা বাতিল করে। এরপর আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হলে আপাতত একজন ফেডারেল বিচারক তা অবরুদ্ধ করে দিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র পরর ষ ট র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।