বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক এখন কে, সেরা দশে আর কারা
Published: 29th, May 2025 GMT
বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক কে?
সাধারণত এই প্রশ্নের একটাই উত্তর। দলবদলের বাজারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দাম পেয়েছেন যিনি। সেই নামটা অবশ্য এই মুহূর্তে হুট করে কারও মনে আসার কথা না। ২০১৮ সালে ৮ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফিতে অ্যাথলেটিক বিলবাও থেকে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন কেপা আরিজাবালাগা। ফুটবল ইতিহাসে তাঁর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হননি আর কোনো গোলরক্ষক। সেই হিসাবে কেপাই এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক।
কিন্তু ৭ বছরের চুক্তিতে চেলসিতে যাওয়ার পর নিজের নাম ও দামের প্রতি খুব কমই সুবিচার করতে পেরেছেন কেপা। ৭ বছরের চুক্তি করেছিল চেলসি তাঁর সঙ্গে। কিন্তু প্রথম কয়েক বছর পরেই চেলসি একাদশে ব্রাত্য হয়ে পড়েন স্প্যানিশ এই গোলরক্ষক। হয়ে যান চেলসির বোঝা। পরে ২০২৩–২৪ মৌসুমে তাঁকে ধারে রিয়াল মাদ্রিদে পাঠায় চেলসি। সেই মৌসুম শেষে আবার তাঁকে এক বছরের জন্য ধারে পাঠানো হয় বোর্নমাউথে। সেই ধারের মেয়াদও শেষ হয়েছে এই মৌসুমে। এই বছর জুনে শেষ হবে চেলসির সঙ্গে তাঁর ৭ বছরের চুক্তিও। এরপর কেপা কোথায় যাবেন, সেটা এখনো অনিশ্চিত।
তার মানে ইতিহাসের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক এখন প্রায় দলহীন, ঠিকানা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই সময়ে কেপার বাজারমূল্য নেমেছে তলানিতে। যার অর্থ, ট্রান্সফার ফিতে ইতিহাসের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক হলেও বাজারমূল্যে এখন কেপা অনেক পেছনে। কতটা পেছনে?
ফুটবলের দলবদল–বিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রান্সফারমার্কেট কাজ করে ফুটবলারদের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত নিয়ে। তারা ফুটবলারদের বাজারমূল্যও বিচার করে। যেটা করা হয় ফুটবলারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, বয়স, বাজারে তাঁর চাহিদা এসব বিশ্লেষণ করে।
সেই হিসেবে ট্রান্সফারমার্কেট বলছে, এখন কেপার বাজারমূল্য মাত্র ১ কোটি ১০ লাখ ইউরো, এবং বাজারমূল্যে গোলকিপারদের মধ্যে এখন কেপার অবস্থান ৫১ নম্বরে।
তাহলে এই মুহূর্তে বাজারমূল্যে সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক কে? ট্রান্সফারমার্কেট বলছে, এই তালিকায় যৌথভাবে সবার ওপরে আছেন আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়া ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। দুজনেরই এখন বাজারমূল্য ৪ কোটি ইউরো করে।
রায়া ও কোবেলের পর এই তালিকায় আছেন পোর্তোর ২৫ বছর বয়সী গোলরক্ষক ডিয়োগো কস্তা। যাঁর বাজারমূল্য এখন ৩ কোটি ৮০ লাখ ইউরো। চার নম্বরে আছেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। এই ইতালিয়ান গোলরক্ষকের বাজারমূল্য এখন ৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। ৩ কোটি ইউরো দাম নিয়ে যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা, সম্প্রতি লিভারপুলে যোগ দেওয়া জর্জিয়ান গোলরক্ষক গিওর্গি মামারদাশভিলি এবং লিলের লুকাস শেভালিয়ের।
অন্যদিকে ট্রান্সফার ফির হিসাবে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি যিনি, লিভারপুলের আলিসন, তাঁর বাজারমূল্য এখন ২ কোটি ২৫ লাখ ইউরো। কেন লিভারপুল তাঁর বিকল্প নিয়ে এসেছে, সেটা বোঝা কঠিন কিছু না। বয়স ৩২ হয়ে গেছে এই ব্রাজিলিয়ানের।
দলবদল ফির হিসাবে দামি গোলরক্ষকের তালিকায় তিন নম্বরে থাকা কিংবদন্তি জিয়ানলুইজি বুফন অবশ্য খেলা ছেড়েছেন আরও আগে। ২০০১–০২ মৌসুমে পার্মা থেকে তাঁকে কেনার জন্য সে সময়ের রেকর্ড ৫ কোটি ২৮ লাখ ইউরো খরচ করেছিল জুভেন্টাস।
বুফনের পরের অবস্থানে থাকা আন্দ্রে ওনানা ইন্টার মিলান থেকে ৫ কোটি ইউরোতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন ২০২৩-২৪ মৌসুমে। ‘রেড ডেভিল’দের হয়ে খুব আহামরি কিছু করতে না পারায় এক মৌসুমেই তাঁর বাজারমূল্য কিছুটা কমে গেছে, এখন যেটা প্রায় ৩ কোটি ইউরো।
আরও পড়ুনফুটবলে এল নতুন নিয়ম, গোলকিপার সময় নষ্ট করলেই কর্নার০২ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র সবচ য় ল খ ইউর ফ টবল র এখন ক বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল