আবার টাইব্রেকার। আবারও প্রথম আলোর জয়। কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চ্যানেল ২৪ কে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে প্রথম আলো।

আজ বৈরী আবহাওয়ার কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে হয় ১৬ মিনিট। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও বল দখলে এগিয়ে ছিল প্রথম আলোই। মেহেদী হাসান, ইয়াহিয়া নকিব, গালিব আশরাফদের দখলেই বল ছিল বেশি।

এদিনও প্রথম আলোর রক্ষণ সামলেছেন ড্রিঞ্জা চাম্বুগং ও শাওন শেখ। এই দুই ডিফেন্ডারের দেয়ালে আটকা পড়ে চ্যানেল ২৪-এর সব আক্রমণ। বিশেষ করে ম্যাচের প্রথমার্ধে। তখন চ্যানেল ২৪ এর বেশ কয়েকটি আক্রমণ একাই নষ্ট করেন শাওন। পুরো ম্যাচে প্রথম আলোর গোলপোস্ট বরাবর একটি শটও নিতে পারেনি প্রথম ম্যাচে জাগো নিউজের বিপক্ষে ৩ গোল করা চ্যানেল ২৪।  

আরও পড়ুনরুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে জয় প্রথম আলোর২৬ মে ২০২৫

ম্যাচে দাপট দেখালেও কাঙ্ক্ষিত গোলটি পাওয়া হয়নি প্রথম আলোর। গোলশূন্য সমতার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আগের খেলায় ম্যাচসেরা হওয়া গোলকিপার মাহমুদুল হাসানকে তুলে নিয়ে তানভীর আহাম্মেদের হাতে গ্লাভস তুলে দেন কোচ আবিদুল ইসলাম।

দিন শেষে এই সিদ্ধান্তই কাজে লেগে যায়। প্রথম দুই শটে গোল হজম করলেও পরের দুটি ঠেকিয়ে দেন তানভীর। অন্যদিকে প্রথম আলোর হয়ে মেহেদী, নকীব, শাওন ও ড্রিঞ্জা নিজেদের প্রথম চারটি শটই গোলে পরিণত করেন।

ম্যাচসেরা তানভীর পুরস্কার নিচ্ছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল র চ য ন ল ২৪

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ