বেশির ভাগ নদ–নদীতে পানি বেড়েছে, ৬ জেলায় স্বল্পমেয়াদি বন্যার শঙ্কা
Published: 30th, May 2025 GMT
গভীর নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিপাতে দেশের বেশির ভাগ নদ–নদীর পানি বেড়েছে। এর ফলে দেশের ছয় জেলায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংস্থাটি জানায়, আগামী রোববারের মধ্যে এসব নদীর পানি কমতে শুরু করতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, টানা বৃষ্টিপাতে দেশের প্রায় সব জায়গায় নদ–নদীর পানি বেড়েছে। ৬৭টি পর্যবেক্ষণকারী নদ–নদীর ৫০টিতেই পানি বেড়েছে। এসব নদ–নদীর যে ১১৬টি পয়েন্টে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তার মধ্যে ৮৯টিতেই পানি বেড়েছে।
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি আজ ও আগামীকাল বাড়তে পারে। এর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী ইত্যাদি নদীর পানি বাড়তে পারে।
ফেনীতে আজ সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টিতে ফেনী জেলার মুহুরী নদীর কাছাকাছি নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানিও বৃদ্ধি পাবে। তবে এ অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছেন সরদার উদয় রায়হান।
পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি কমছে। এসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নদ র প ন নদ নদ র দ নদ র
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।