নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাটে তিনদিন অপেক্ষার পর বিশেষ বিবেচনায় সরকারি নৌযানে চারটি মরদেহ গন্তব্যে পৌঁছেছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানান, শুক্রবার (৩০ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সরকারি নৌযান বে ক্রুজ-১ যোগে চেয়ারম্যান ঘাট থেকে চরঈশ্বর ইউনিয়নের নলচিরা ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহগুলো। 

গত বুধবার (২৮ মে) বিকেল থেকে মরদেহবাহী চারটি অ্যাম্বুলেন্সে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে চেয়ারম্যান ঘাটে আটকা পড়েছিল। যারা মারা গেছেন এবং তাদের পরিবারের কোনো তথ্য জানাতে পারেননি ইউএনও।

আরো পড়ুন:

২২ দিনের শিশুকে হত্যা করে থানায় জিডি, গ্রেপ্তার ৪

ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত বুধবার দুপুর ১২টা থেকে হাতিয়ায় সব ধরনের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। যার কারণে গত তিনদিন ধরে হাতিয়া উপজেলার সঙ্গে নোয়াখালী জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ ছিল। ফলে জেলা সদর থেকে হাতিয়াগামী যাত্রীরা চেয়ারম্যান ঘাটে আটকা পড়েন।

ইউএনও মো.

আলাউদ্দিন বলেন, “বিশেষ বিবেচনায় চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সরকারি নৌযান বে ক্রুজ -১ যোগে মেঘনা নদীর উত্তর পাড়ের নলচিরা ঘাটে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে, আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আগের আদেশ অনুযায়ী যথারীতি নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ চারটি গ্রহণ করার জন্য নলচিরা ঘাটে স্বজনরা অপেক্ষায় ছিলেন। নৌযান থেকে নামানোর পর নলচিরা ঘাট থেকে সড়ক পথে হাতিয়া উপজেলা সদর ওছখালি নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিজ নিজ এলাকায় দাফনের জন্য নেওয়া হয় মরদেহ চারটি।

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ নদ মরদ হ নলচ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এসময় তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন। 

রবিাবর (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টার দিকে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। একপর্যায়ে তারা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্রের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচিতে পরিবর্তন

ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমন ধানে সার দিতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। 

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, কৃষকরা বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইউএনও দীপ জন মিত্র জানান, কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
  • কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ