কলমাকান্দায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, বিএনপি-পুলিশ মুখোমুখি
Published: 31st, May 2025 GMT
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ছাত্রদল নেতা মো. আ. গাফফারের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ দুই নেতার একজন গ্রেপ্তার ও অপরজনের জামিনে মুক্তিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। এ পরিস্থিতিতে থানা ঘিরে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মুখোমুখি অবস্থান।
এ ঘটনার জেরে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার পৃথক অভিযানে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো.
জানা গেছে, আব্দুল ওয়াদুদ রতনের বিরুদ্ধে কলমাকান্দাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় বিস্ফোরক, চাঁদাবাজি, নাশকতা ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, তিনি সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
বিএনপির দাবি, রতনের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর তথ্য গোপন করে তড়িঘড়ি করে আদালতে সোপর্দ করা হয়, ফলে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কলমাকান্দা থানার (ওসি, তদন্ত) মো. লুৎফর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর আহমেদ নাজিম, জিহাদ খান মিতুলসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রতনকে পুনরায় গ্রেপ্তার না করলে ওসি ফিরোজ হোসেনের বিরুদ্ধে মিছিল, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার রাতে এ বিষয়টি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর আহমেদ নাজিম সত্যতা নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, একাধিক মামলার আসামিকে পরিকল্পিতভাবে আদালতে উপস্থাপন করে জামিনে মুক্তির পথ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ছাত্রদল নেতা মো. আ. গাফফারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে গত ২৭ মে ভোরে, উপজেলার হরিপুর চকবাজার এলাকায়। এ ঘটনায় পরদিন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে পূর্ব পরিকল্পিত হামলার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, আসামিকে আদালতে চালানের পর পুরোনো মামলার ফরওয়ার্ডিং দিতে দেরি হওয়ায় তিনি জামিনে মুক্তি পান। আইনগত প্রক্রিয়ায় আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছি।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিকে পুনরায় গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। সবাইকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
বর্তমানে কলমাকান্দার রাজনীতিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপির দেওয়া আল্টিমেটামের সময়সীমা শেষ হলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ত রক ন কলম ক ন দ ছ ত রদল ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কলমাকান্দায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, বিএনপি-পুলিশ মুখোমুখি
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ছাত্রদল নেতা মো. আ. গাফফারের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ দুই নেতার একজন গ্রেপ্তার ও অপরজনের জামিনে মুক্তিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। এ পরিস্থিতিতে থানা ঘিরে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মুখোমুখি অবস্থান।
এ ঘটনার জেরে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার পৃথক অভিযানে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান মিজান এবং বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ রতনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সকালে রতনকে জেলা আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। অপরদিকে, মিজানুর রহমান মিজানকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, আব্দুল ওয়াদুদ রতনের বিরুদ্ধে কলমাকান্দাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় বিস্ফোরক, চাঁদাবাজি, নাশকতা ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, তিনি সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
বিএনপির দাবি, রতনের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর তথ্য গোপন করে তড়িঘড়ি করে আদালতে সোপর্দ করা হয়, ফলে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কলমাকান্দা থানার (ওসি, তদন্ত) মো. লুৎফর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর আহমেদ নাজিম, জিহাদ খান মিতুলসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রতনকে পুনরায় গ্রেপ্তার না করলে ওসি ফিরোজ হোসেনের বিরুদ্ধে মিছিল, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার রাতে এ বিষয়টি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর আহমেদ নাজিম সত্যতা নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, একাধিক মামলার আসামিকে পরিকল্পিতভাবে আদালতে উপস্থাপন করে জামিনে মুক্তির পথ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ছাত্রদল নেতা মো. আ. গাফফারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে গত ২৭ মে ভোরে, উপজেলার হরিপুর চকবাজার এলাকায়। এ ঘটনায় পরদিন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে পূর্ব পরিকল্পিত হামলার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, আসামিকে আদালতে চালানের পর পুরোনো মামলার ফরওয়ার্ডিং দিতে দেরি হওয়ায় তিনি জামিনে মুক্তি পান। আইনগত প্রক্রিয়ায় আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছি।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিকে পুনরায় গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। সবাইকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
বর্তমানে কলমাকান্দার রাজনীতিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপির দেওয়া আল্টিমেটামের সময়সীমা শেষ হলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।