প্রথমবারের মতো চীনের বাজারে বাংলাদেশের আম
Published: 31st, May 2025 GMT
চীনের সঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্কের সূচনা হয়েছে। দেশটিতে আম রপ্তানি শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম চালানে তিন টন আম বিমানের মাধ্যমে চীনের ছাং শা হুয়াং হুয়া বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
শনিবার (৩১ মে) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জি মোমেন্টস এক এক্স বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আম পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর শুল্ক বিভাগের কর্মীরা প্যাকেজিং ও ফলের চেহারা কোয়ারেন্টিন পরিদর্শন করার পর ছাড়পত্র দেন।
এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে চীন আম আমদানি করল। এই ঘটনা চীন-বাংলাদেশ কৃষিপণ্যের বাণিজ্যিক সহযোগিতার নতুন পথ পাড়ি দেওয়ার প্রতীক বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই চালানের আম চীনের ই-কর্মাস, সুপারমার্কেট ও তাজা খাদ্য চেইনের মতো চ্যানেলে বিক্রি করা হবে। এর আগে বাংলাদেশের আম প্রধানত মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বিক্রি করা হতো।
এর আগে, প্রথম দফায় ২৮ মে বুধবার দুপুরে আমের চালান চীনে পাঠানো হয়। এ জন্য হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত কয়েক মাস আগে চীনে আম রপ্তানি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিছুদিন আগে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়। এ মৌসুমে সব মিলিয়ে ১০০ টন আম রপ্তানি হবে। প্রথম চালানে সাতক্ষীরা, যশোর অঞ্চলের আম রপ্তানি করা হলো। কয়েকজন রপ্তানিকারক মিলে ১০ টন আম রপ্তানি করেছেন বলে জানা গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, “প্রথম দফায় ঢাকা থেকে আম চীনে রপ্তানি হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি আমও রপ্তানি করা হবে।”
গত ২৮ এপ্রিল চীনের রাষ্ট্রদূত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের বাগান পরিদর্শন করেছিলেন। এরপরই আম রপ্তানির প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।
চলতি বছর চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপিত হলো। এ উপলক্ষে এই আম রপ্তানি একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ হলো।
২০১৯ সালে চীনে আমসহ কিছু কৃষিপণ্য রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। তবে করোনা সংক্রমণসহ নানা কারণে ছয় বছর পর দেশটিতে আম রপ্তানির উদ্যোগ সফল হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে আম উৎপাদিত হয়েছে ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩২১ টন। বাংলাদেশ থেকে গত বছর ২১টি দেশে আম রপ্তানি করা হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইতালি ও সিঙ্গাপুরের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশ রয়েছে।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্রান্সে পিএসজির বিজয় উন্মাদনা রূপ নিল সহিংসতায়: নিহত ২, আহত ১৯২
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের বিজয় উদ্যাপনকালে ফ্রান্সে দুজন নিহত ও ১৯২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচ শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ রোববার এসব তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে পিএসজি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস ও আশেপাশের এলাকায় বিজয় উন্মাদনা শুরু হয়। ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানকে হারানোর পর শুরু হওয়া এ উৎসব উদ্যাপন একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
গতকাল শনিবার রাতে পিএসজি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস ও আশেপাশের এলাকায় বিজয় উন্মাদনা শুরু হয়। ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানকে হারানোর পর শুরু হওয়া এ উৎসব উদ্যাপন একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, সকাল পর্যন্ত ৫৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শুধু প্যারিসেই গ্রেপ্তার করা হয় ৪৯১ জনকে। এর মধ্যে ৩২০ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে; যাঁদের ২৫৪ জন প্যারিসের।
সংঘর্ষ চলাকালে চঁপ এলিজে সড়কে কিছু বাস স্টপেজ ভেঙে ফেলা ও দাঙ্গা পুলিশকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে মারা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় পিএসজির হাজার হাজার সমর্থক বিখ্যাত এ সড়কে ভিড় করেছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সারা দেশে আগুন লাগানোর শত শত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আছে দুই শতাধিক যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা। সহিংসতার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্য ও সাত দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সারা দেশে আগুন লাগানোর শত শত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আছে দুই শতাধিক যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা। সহিংসতার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ২২ সদস্য ও সাত দমকলকর্মী আহত হয়েছেন।