চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শিবিরের নেতা–কর্মীরা দাবি করছেন, ছাত্রদল তাঁদের ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় তাঁদের তিনজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ছাত্রদল বলছে, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে অন্যভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নগরের আগ্রাবাদ কমার্স কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ফুল ও পানি দেওয়ার জন্য আগে থেকে সেখানে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয় নিয়েই তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়।

শিবিরের ভাষ্য, তারা গতকাল শুক্রবার রাতে কলেজে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য হেল্পডেস্কের ব্যবস্থা করে। ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা এসে তাদের হেল্পডেস্কের বুথ ভেঙে দেন ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। পরে তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। আজ সকালে সেখানে গেলে ছাত্রদলের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেন। এতে তাদের তিনজন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে ছাত্রদলের ভাষ্য, দুই সংগঠনের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের পানির দেওয়ার জন্য অবস্থান করছিলেন। সকালে পানি কে আগে দেবেন, তা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে সেটি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। তবে শিবির সেটিকে হামলা বলে প্রচার করছে।

শিবিরের চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ শাখার সভাপতি সাদনান ফাহিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সেখানে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা বুথ বসিয়েছিলাম। ছাত্রদলের কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করেছেন।’

অন্যদিকে ছাত্রদল নগর শাখার আহ্বায়ক সাইফুল আলম বলেন, তুচ্ছ একটি ঘটনা নিয়ে সেটিকে বড় করা হচ্ছে। পানি কে আগে দেবে, সেটি নিয়ে ছোট বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে শুধু, মারামারি হয়নি।

জানতে চাইলে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মারামারি হয়নি, এটা ছোট ঘটনা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। সেখানে পুলিশ ছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র র জন য কর ম র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ