কাশীপুরে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া ও আলোচনা সভা
Published: 1st, June 2025 GMT
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ফতুল্লার কাশীপুর ফরাজীকান্দা এলাকায় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) রাতে ফরাজীকান্দা মসজিদ প্রাঙ্গণে এ দোয়া ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইয়ার হোসেন পোকা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কে এম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ।
সভায় তিনি বলেন, সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি জিয়াউর রহমানকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় বসায়। তিনি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন। মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক। তিনি এদেশের মানুষের হৃদয়ে আজীবন সম্মানের আসনে আসীন থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছি,তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ স্বপ্নকে নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। কারণ এ স্বপ্ন দেশের সকল মানুষের। চারিদিকে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
সভায় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেনÑমহানগর বিএনপি নেতা মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, যুবদল নেতা শিকদার বাপ্পী।
রহমত উল্লাহ ওয়াসীমের সঞ্চালনায় সভায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-ফরাজীকান্দা সমাজ কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা, বিএনপি নেতা মতিন সরদার, শামীম ভুঁইয়া, জাকির হোসেন মুন্সি প্রমুখ।
আলোচনার সভার শুরুতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন ফরাজীকান্দা জামে মসজিদের খতিব মুফতি সোহাইল মাহমুদ। পরে উপস্থিত সকলের মধ্যে রান্না করা খিচুরি বিতরণ করেন অতিথিরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন ফর জ ক ন দ উপস থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে ভিউ ব্যবসায়ীরা গল্প ফাঁদছেন
মাইলস্টোন স্কুলে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম, স্কুলটির কো–অর্ডিনেটর মাহরীন চৌধুরী, শিক্ষক মাসুকা বেগম। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই দিয়ে বানানো বিভিন্ন রিলসে তৌকির ইসলাম স্যুট–টাই পরে নিজেই বলছেন, তিনি অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু দুর্ঘটনাটা এড়াতে পারেননি। একইভাবে মাহরীন চৌধুরী ও মাসুকা বেগমও সুন্দর শাড়ি পরে হাসি হাসি মুখ করে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বলছেন, দগ্ধ বাচ্চাদের সেখান থেকে বের করতে গিয়ে নিজেরা দগ্ধ হন এবং পরে মারা যান। অর্থাৎ মারা যাওয়ার পরও তাঁরা কথা বলছেন।
ফেসবুকে ভিউ ব্যবসার জন্য বানানো এসব রিলস দেখে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি অমানবিক।
২১ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ মারা নিহত হয়েছেন ৩৪ জন।
ঘটনার দিন আগুনে দগ্ধ হয়ে স্কুলের ভেতর থেকে যখন অনেক বাচ্চা বের হয়ে আসছিল, তখন অনেকে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা না করে ভিডিও করছিলেন। এ নিয়ে ক্ষোভ আছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের। তাঁরা বলছেন, মানুষ সেই সময় ভিডিও না করে বাচ্চাগুলোকে একটু বাঁচানোর চেষ্টা করলে হয়তো দু-একজন বেঁচেও যেত। আর ঘটনার পর ওই সব ভিডিও এবং এআই দিয়ে বানানো ছবি ও ভিডিও দিয়ে এখন শুরু হয়েছে নতুন যন্ত্রণা। পাইলট তৌকির মারা যাওয়ার দুই মিনিট আগে কী করছিলেন, বিমানটা কীভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিল, মারা যাওয়ার আগে স্কুলের শিক্ষকেরা কী বলেছিলেন—এমন রিলসও বানানো হয়েছে। চটকদার শিরোনাম দেখে অনেকে বিভ্রান্তও হচ্ছেন।
মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এক মায়ের ‘তিন সন্তান মারা গেছে’। ফেসবুকে ‘জুনায়নাস ড্রিমস’ নামের পেজে এমন পোস্ট দেখে সবার মধ্যে এক হাহাকার তৈরি হয়। অনেকে পোস্টের নিজে মন্তব্য করেন। এই পেজ শামীমা মমতাজের। ৩০ জুলাই বুধবার এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শামীমা বললেন, ‘আমার বাচ্চা না। কপি-পেস্ট করেছি।’ কপি-পেস্ট করেছেন তা পোস্টের কোথাও উল্লেখ করেননি কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাহলে পোস্টটি ডিলিট করে দিচ্ছি।’
এখন পর্যন্ত দুটি পরিবারে একাধিক শিশু মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাহমিনা আক্তার-আশরাফুল ইসলাম দম্পতির মেয়ে তাহিয়া আশরাফ নাজিয়া মাইলস্টোন স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। আর এই দম্পতির ছেলে আরিয়ান আশরাফ নাফি ছিল তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এই দুই ভাই–বোন এক দিন আগে-পরে মারা গেছে। রাজধানীর কামারপাড়ায় রাজাবাড়ি দক্ষিণপাড়া কবরস্থানে এই ভাই-বোনকে পাশাপাশি কবর দেওয়া হয়েছে।
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান।