বছরের বিভিন্ন উৎসব ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব উৎসব কেন্দ্র করে দেশের নানা প্রান্তে কর্মব্যস্ত মানুষেরা স্বপ্ন দেখেন প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য বাড়ি ফেরার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ট্রেন, বাস কিংবা লঞ্চ—যেকোনো গণপরিবহনের টিকিট সংগ্রহ সাধারণ মানুষের জন্য দিন দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে।
অনলাইনে যে টিকিট সরবরাহ করা হয়, তা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। অন্যদিকে বহু স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে, ভিড় ঠেলে টিকিট কাটতে গেলে দেখা যায়—সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। অথচ কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই টিকিটই কালোবাজারিদের হাতে দুই-তিন গুণ বেশি দামে পাওয়া যায়, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। প্রায়ই অভিযোগ ওঠে, পরিবহন সংস্থার কিছু অসাধু কর্মচারী এই অনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। এতে একদিকে যেমন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
আমরা সাধারণ যাত্রীরা চাই, কালোবাজারি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক এবং যারা এ কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হোক।
মো.
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুদিনের সফরে বুধবার কলকাতায় পৌঁছেছেন। বিকেলে তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পরে নদীয়া জেলার কল্যাণীতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানান এইমসের পরিচালক রামজি সিং। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি যান দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে। সেখানে কালীমন্দিরে পূজা অর্চনা করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু।
দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রামকৃষ্ণদেবের বংশধর কৌশিক চক্রবর্তী রাষ্ট্রপতির হাতে মন্দিরে নিবেদিত পদ্মফুল ও প্রসাদ তুলে দেন। পরে রাষ্ট্রপতি রামকৃষ্ণদেবের বসতঘর পরিদর্শন করে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ঝাড়খন্ড রাজ্যের দেওঘরে যাবেন। সেখানে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস), দেওঘরের প্রথম সমাবর্তন উৎসবে যোগ দেবেন। এ প্রতিষ্ঠানেও এই প্রথমবার সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।