ডা. শফিকুর রহমান কাতার যাননি: জামায়াত
Published: 1st, June 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর ডা. শফিকুর রহমান কাতারের রাজধানীর দোহায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে যে গুজব সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা খণ্ডন করেছে দল। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম আজ রোববার বিবৃতিতে বলেছেন, হীন উদ্দেশে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
গত শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সার দাবি করেন, কাতারে মার্কিন চ্যার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স, বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াত আমির। তিনি এখন কাতারেই রয়েছেন।
যদিও রোববার সকালে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে গিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে যোগ দেন জামায়াতের আমির। রাতে তিনি ঢাকায় ফেরেন। তবে প্রোপাগান্ডামূলক একটি ওয়েবসাইট থেকে দাবি করা হয়, ২৮ মে দোহায় বৈঠক করেন জামায়াত আমির।
জামায়াত বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৮ মে সকালে ঢাকার শাহবাগে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তৃতা করেন শফিকুর রহমান। একই দিন দুপুরে মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। বিকেলে গোলাম আযমের, সন্ধ্যায় আজিমপুর কবরস্থানে যথাক্রমে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ও এটিএম আজহারুল ইসলামের স্ত্রীর কবর জিয়ারত করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ মে বৃহস্পতিবার সারাদিন নিজ বাসায় ছিলেন জামায়াত। রাতে ছিলেন দলীয় কার্যালয়ে। পরেরদিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেছেন। একইদিন সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রতিটি কর্মসূচি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। জামায়াত আমির বিদেশ গিয়ে থাকলে, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তথ্য থাকবে। কেউ চাইলে তা যাচাই করতে পারেন।
নিবন্ধন ফিরে পাওয়া ন্যায়বিচার
আপিল বিভাগের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়াকে ন্যায়বিচার বলে আখ্যা দিয়েছেন জামায়াত আমির। রোববার বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, রায়ের মাধ্যমে আরও একটি জুলুম-নিপীড়নের অবসান হল। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম জ ম য় ত আম র
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি
পটুয়াখালীতে স্থানীয় পর্যায়ে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই বিজ্ঞপ্তির কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সম্প্রতি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী সালিস বৈঠকে অংশ নিয়ে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা এ বিষয়ে ফেসবুকে নানা মন্তব্য তুলে ধরে ক্ষোভ জানিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিএনপি এই বিজ্ঞপ্তি দেয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান টোটন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। সংকটময় মুহূর্ত আসছে, তাই দলীয় নেতা-কর্মীরা যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় না জড়ান, তাই তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।’
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামী সংগঠন। এই দলের প্রত্যেক কর্মী জনগণের আস্থার প্রতীক এবং আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী সৈনিক। তাই দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতা-কর্মী স্থানীয় পর্যায়ে কোনো প্রকার সালিস, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ বা পক্ষপাতদুষ্ট এবং মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না।
একই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি এবং জনগণের পাশে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের সদা হাস্যোজ্জ্বল, ভদ্র ও অমায়িক আচরণমুখী হতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।