যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলপন্থী বিক্ষোভে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ, কয়েকজন আহত
Published: 2nd, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে একদল বিক্ষোভকারীর ওপর পেট্রল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনের গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ করছিলেন। এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়ে তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা-এফবিআই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এফবিআই প্রধান ক্যাশ প্যাটেল বলেন, ‘আমরা কলোরাডোর বোল্ডারে একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে অবগত এবং ঘটনাটির আদ্যোপান্ত তদন্ত করে দেখছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত একদল লোকের দিকে ঘরোয়াভাবে তৈরি মলোটভ ককটেল (পেট্রল বোমা) সদৃশ কিছু ছুড়ে মারেন এক ব্যক্তি।
বিক্ষোভকারীদের ওপর এটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে বোল্ডার পুলিশপ্রধান স্টিভ রেডফার্ন এ ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্য কী ছিল তা নিয়ে আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার কিছু আগে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গায়ে জামা না থাকা এক ব্যক্তি দুই হাতে স্বচ্ছ স্প্রে বোতল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর তাঁর সামনে ঘাসে আগুন জ্বলছে।
ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘জায়নবাদীরা নিপাত যাক’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘তারা খুনি’। লাল টি-শার্ট পরা কয়েকজনের দিকে তাকিয়ে তিনি কথাগুলো বলছিলেন, যাঁরা মাটিতে পড়ে থাকা একজনের শুশ্রূষা করছিলেন।
আরও পড়ুনরাফায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৩০১৬ ঘণ্টা আগেখবর পেয়ে পুলিশ দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে জানান বোল্ডার পুলিশপ্রধান স্টিভ রেডফার্ন। তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর একাধিক আহত ব্যক্তিকে দেখতে পাই, যাঁদের শরীরে আগুনে পোড়া ও অন্যান্য ধরনের জখমের চিহ্ন ছিল।’
স্টিভ রেডফার্ন বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছেই পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই সন্দেহভাজনের মুখোমুখি হয়। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই তাঁকে আটক করা হয়েছে
আরও পড়ুনপ্রতি ২০ মিনিটে গাজায় একটি শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে: জাতিসংঘ৩১ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’