বসুন্ধরায় ক্যাফে লিও’র প্রিমিয়াম আউটলেটের উদ্বোধন
Published: 2nd, June 2025 GMT
বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরে রবিবার (১ জুুন) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে অত্যাধুনিক ও প্রিমিয়াম ক্যাফে ‘ক্যাফে লিও’।
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের ঠিক বিপরীত পাশে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইন, সুবিশাল পার্কিং, আরামদায়ক পরিবেশের সাথে ক্যাফে লিও-তে থাকছে প্রিমিয়াম মানের কফি, রিফ্রেশিং কোল্ড ড্রিঙ্কস, মুখরোচক স্ন্যাকস এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের মেলবন্ধন।
ক্যাফে লিও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন:
পেশা ও দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই: সংসদ সচিব
‘ট্রান্সফর্মিং লাইভস থ্রু নিউট্রিশন’ প্রকল্পের উদ্বোধন
বসুন্ধরা গ্রুপ-এর পরিচালক ইয়াশা সোবহান ক্যাফে সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত অনুভূতি ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা তুলে ধরেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ক্যাফে লিও শুধুমাত্র একটি ক্যাফে নয়- এটি একটি পরিবেশ যেখানে মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত টেস্টি খাবার উপভোগ এর সাথে সুন্দর সময় কাটাতে পারবেন। আমাদের ক্যাফে’র নান্দনিক পরিবেশ, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আপনার মুহূর্তকে করে তুলবে আভিজাত্যময়। আমরা চেষ্টা করেছি এমন একটি জায়গা তৈরি করতে, যেখানে মানুষ স্বস্তিতে বসে গল্প করবে, ভালোবাসায় গড়বে নতুন স্মৃতি।”
ঢাকা/চিশতী/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পা পিছলে ট্রেনের নিচে সবজি বিক্রেতা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু
চলন্ত ট্রেনের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। পাশাপাশি দুটি ট্রেন তুলনামূলক কম গতিতে চলছিল। হঠাৎ একটি ট্রেনের সামনে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ট্রেনটি চলে যায় তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম জালাল উদ্দিন ওরফে জালু (৪০)। তিনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরআলগী ইউনিয়নের নিধনিয়া চর ব্যাপারী পাড়ার বাসিন্দা ও পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
দুর্ঘটনার পর জালাল উদ্দিনকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা বিজন মালাকার।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, জালাল উদ্দিন এলাকায় কৃষিকাজ করেন এবং সেখান থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্রি করেন। তিনি প্রায়ই ট্রেনে চেপে শ্রীপুর যান এবং রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গতকাল দুপুরে শাকসবজি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর যান। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ধরতে রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি দৌড় দেন। এ সময় ট্রেনটি শ্রীপুর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। সেটি ধরতে গিয়ে পাশের রেললাইনে থাকা ঢাকাগামী মহুয়া এক্সপ্রেসের ট্রেনের নিচে পড়ে যান জালাল উদ্দিন।
নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী ও গফরগাঁও কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী জানান, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারাল।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আবদুল বারিক।