পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। সেই সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন, তার দল শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে।

রোববার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচেও হারের মুখ দেখেছিল লিটনের দল, প্রথম ম্যাচে ৩৭ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৭ রানে। শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১৯৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। লক্ষ্যটা কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও পাকিস্তান সেটি টপকে যায় ১৬ বল হাতে রেখেই। আগের দুই ম্যাচে রান তাড়ায় ব্যর্থ হলেও এবার ব্যাটিংয়ে কিছুটা উন্নতির ছাপ রেখেছে সফরকারীরা।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে লিটন বলেন, ‘আগের দুই ম্যাচেও আমরা বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ভালো করিনি। আজ ব্যাটিংটা তুলনামূলক ভালো হয়েছে, উইকেটটাও ভালো ছিল। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানের জন্য কীভাবে বল করতে হয়, সেটা আমাদের ভাবতে হবে, শিখতে হবে।’

তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও লিটন ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেছেন, বিশেষ করে শেষ ম্যাচে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসানের ১১০ রানের জুটি নিয়ে আশাবাদী তিনি। ‘ইমন ও তানজিদ দারুণ ব্যাটিং করেছে। দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’

সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘দর্শকদের সমর্থন অসাধারণ ছিল। তারা দুই দলকেই উৎসাহ দিয়েছেন। আমরা একটি ম্যাচও জিততে পারিনি, বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে এজন্য আমি দুঃখিত। আশা করি, আমরা শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

বাংলাদেশ দলের সামনে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ আগামী জুলাইয়ে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগে লঙ্কানদের মাটিতেই দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলবে টাইগাররা। সফরের সূচনা হবে ১৭ জুন, গলে প্রথম টেস্ট দিয়ে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল টন দ স

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ